কুবি প্রতিনিধি :
দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ। তাই এ সময়ে মেসে অবস্থান না করলেও ভাড়া পরিশোধ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মেসভাড়া মওকুফের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধে কুমিল্লার স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসন।
রোববার (১৭ মে) বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো: আবু তাহের স্বাক্ষরিত পৃথক ছয়টি চিঠি প্রেরণ করা হয় স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে। চিঠিগুলো কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর, কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ. ক. ম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, সদর দক্ষিণ উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিনের নিকট পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী টিউশনি করে পড়ার খরচ চালালেও এ পরিস্থিতিতে টিউশনি করতে পারছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতায় মেসে থাকা চার হাজার শিক্ষার্থী এনিয়ে বিপাকে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকায় মার্চ মাসের অর্ধাংশ, এপ্রিল ও মে মাসে শিক্ষার্থীরা মেসে অবস্থান করেনি। তথাপিও মেস মালিকরা শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে। এ অবস্থায় দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পক্ষে ভাড়া প্রদান করা সম্ভব নয়। কাজেই করোনাকালীন সময়ে সকল শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া সম্পূর্ণ মওকুফ করা খুবই জরুরি।
চিঠির বিষয়ে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো: আবুল ফজল মীর জানান, ছাত্র-ছাত্রীদের মেসভাড়া মওকুফের বিষয়টি কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখবেন। তবে ভাড়া মওকুফের বিষয়ে যদি কোনও ধরনের সহযোগিতার প্রয়োজন হয় সেটা আমরা করবো।
বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, মেসভাড়া মওকুফের বিষয়ে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে কুমিল্লার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিকট চিঠি পাঠিয়েছি।
স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সভার বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলবো।
মেসভাড়া মওকুফের বিষয়ে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা মেস থেকে বাড়িতে চলে গেছেন। ফলে টিউশন অন্যান্য কাজের সুযোগ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা ছুটিকালীন মেস-বাসাভাড়া নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে।