শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড গেট সংলগ্ন দোকানগুলোতে চাঁদাবাজির এই অভিযোগ করেছে দোকানিরা।
অভিযুক্ত নেতারা হলেন- শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের দপ্তর বিষয়ক উপসম্পাদক গোলাম রাব্বী খান (জেনিথ), সহসম্পাদক এ কে এম তমাল আব্দুল্লাহ ও কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আরিফুর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেন্ড গেট সংলগ্ন মোটরসাইকেল মেরামতের দোকান মালিক মিজানুর রহমান কালের কণ্ঠকে অভিযোগ করেন, কয়েকদিন আগে দুইজন ছেলে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতার পরিচয় দিয়ে টাকা চাইতে আসে।
তারা বলেন, বন্ধ থাকা মোটরসাইকেল মেরামতের দোকান পুনরায় চালু করতে চাইলে টাকা দিতে হবে। দর কষাকষির এক পর্যায়ে তারা ১০ হাজার টাকা দাবি করে বলে জানান তিনি।
টাকা না দিলে দোকান খুলতে দিবে না বলে হুমকি দেয়। চাঁদা দাবিকারীদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি জানান, তাদের নাম জানি না। তবে চেহারা চিনি।
তারা রাসেল গ্রুপের সদস্য বলে পরিচয় দেয়। এসময় তিনি ছবি দেখে শেকৃবি ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক এ কে এম তমাল আব্দুল্লাহ ও আরিফুর রহমানকে শনাক্ত করেন।
তমাল ও আরিফ উভয়ে অভিযোগ অস্বীকার করেন। তারা পাল্টা অভিযোগ করেন, দপ্তর বিষয়ক উপসম্পাদক গোলাম রাব্বী খান (জেনিথ) চাঁদাবাজির সাথে জড়িত।
তাদের দেওয়া তথ্যের সূত্র ধরে দোকানি আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ইয়ার হোসেনের দোকান চালু করার সময় দুই হাজার টাকা নিয়ে এক হাজার টাকা নিজে রেখে বাকি এক হাজার টাকা জেনিথকে দেন।
জেনিথ জানান, আগে টাকা নিলেও এখন আর নেন না। এসব বাদ দিয়েছেন। সেইসাথে নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
শেকৃবি ছাত্রলীগে পদ পাওয়ার পর থেকে সেকেন্ড গেট সংলগ্ন আরো কিছু দোকান থেকে বিভিন্ন সময় টাকা নিয়ে থাকে জেনিথ।
বিষয়ে শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, আমার কাছেও এ বিষয়ে অভিযোগ এসেছে।
তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।