অারিফ হোসেন: বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার এয়ারপোর্ট থানাধীন রহমতপুর আঃ রব সেরনিয়াবাত বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষক অভিজিৎ মূখার্জির ফাঁসির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসী। বুধবার ৪ মার্চ সকাল ১১:৩০ মিনিটে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের রহমতপুর ব্রীজে রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও আঃ রব সেরনিয়াবাত বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২ সহাস্রাধীক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও এলাকাবাসী ধর্ষকের ফাঁসি ও সহযোগীদের বিচারের দাবিতে ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
মানববন্ধনে আঃ রব সেরনিয়াবাত বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জামিল হোসেন’র সভাপতিত্বে অপরাধির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে বক্তব্য রাখেন, রহমতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবিনাশ চন্দ্র রায়, আওয়ামীলীগ নেতা মাইদুল ইসলাম লিটন কাজী, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি জালাল হাওলাদার, জাতীয় পার্টির নেতা মোঃ হামিদুর রহমান বেপারি, ইউপি সদস্য মিজান মুন্সিসহ সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা।
এসময় বক্তারা ধর্ষক অভিজিৎ মূখার্জি ও তার চাচা মদতদাতা সন্ত্রাসী সুবাল মূখার্জি, সহযোগী মামুন মোল্লার শাস্তি নিশ্চিত করে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপনের দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন মানববন্ধন থেকে। এয়ারপোর্ট থা’নার ওসি জাহিদ বিন আলম বলেন, এ ঘটনায় সর্বোচ্চ আইনি পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য বরিশালের এয়ারপোর্ট থানাধীন রহমতপুর আঃ রব সেরনিয়াবাত বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এঘটনায় পশ্চিম রহমতপুর এলাকার প্রভাবশালী মূখার্জি পরিবারের রনজিৎ মূখার্জির ছেলে ধর্ষক অভিজিৎ মূখার্জি (২৬) কে আসামি করে এয়ারপোর্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ধর্ষিতার পরিবার। মামলা নং-০২, তারিখ-০১-০৩-২০২০ইং।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানাযায়, ধর্ষনের শিকার ওই ছাত্রী প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার ২ ফেব্রুয়ারি সকালে বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। বিদ্যালয়ের পৌছানোর আগে রহমতপুর বাজার সংলগ্ন কৃষি গবেষণার গেটের সামনে বসে নাকের সামনে রুমাল ধরে অচেতন করে অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে রাতভর জোর পূর্বক ধর্ষণ করে অভিজিৎ মূখার্জি।
বিমানবন্দর থানাসূত্রে জানাযায়, মামলার আসামী অভিজিৎ মূখার্জিকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ভিকটিমকে চিকিৎসা ও ডিএনএ টেষ্টের জন্য শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
অনেক খোজাখুজির পর রোববার নুতনহাট নামক স্থান থেকে তাদের উদ্ধার করার পর এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে জানায় মামলার বাদী কাজী মিজানুর রহমান। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত মামলা না করার জন্য থানার সামনেই হুমকিধামকি দেয় ধর্ষকের চাচা সুভাল মূখার্জি।
সনাতন ধর্মালম্বি মূখার্জি পরিবারে সন্তান হয়ে একটি মুসলিম পরিবারের নাবালিকাকে অপহরণের পর ধর্ষণ করায় বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। কেউ কেউ ধারনা করছেন যে কোনা সময় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধতে পারে ওই এলাকায়। জানাযায়, ধর্ষক অভিজিৎ মূখার্জি ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত অবস্থায় প্রাইভেট পড়াতো।