চার বছর ঝুলে থাকার পর পেশাগত গুরুতর অসদাচরণ, শৃংখলা ও আচরণবিধি লংঘনের দায়ে প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে অপসারণ করা হয়েছে। রোববার আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৬ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি পেশাগত গুরুতর অসদাচরণ ও শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। তবে রোববার রাতে মোহাম্মদ আলী সমকালকে জানান, তিনি এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাননি বা কেউ তাকে এ বিষয়টি জানায়নি। চিঠি পাওয়ার পরই প্রতিক্রিয়া দেবেন।
আদেশে বলা হয়, ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর মোহাম্মদ আলীকে নিয়োগের আদেশ বাতিলক্রমে প্রসিকিউটর পদ থেকে অপসারণ করা হলো। রোববার থেকেই এই আদেশ কার্যকর হবে।এর আগে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ওই বছর ১৪ ফেব্রুয়ারি আইন মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গোলাম আরিফ টিপু। ওই বছর ৪ ফেব্রুয়ারি প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে ট্রাইব্যুনালের সব মামলা থেকে প্রত্যাহার করে অফিস আদেশ জারি করেন চিফ প্রসিকিউটর।জানা যায়, ময়মনসিংহ-৭ আসনের সাবেক এমপি জাতীয় পার্টির নেতা এম এ হান্নানের বিরুদ্ধে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামিন করিয়ে দিতে ট্রাইব্যুনালের এক বিচারককে ঘুষের প্রস্তাব দেন মোহাম্মদ আলী। এ বিষয়টি জানতে পেরে মোহাম্মদ আলীকে সব মামলা থেকে প্রত্যাহার করেন চিফ প্রসিকিউটর। বিষয়টি চার বছর ঝুলে থাকার পর রোববার তাকে অপসারণ করার আদেশ দেয় মন্ত্রণালয়।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর প্রায় একই অভিযোগে প্রসিকিউটর ড. তুরিন আফরোজকে ট্রাইব্যুনাল থেকে অপসারণ করা হয়।