ডেসটিনি গ্রুপের কারাবন্দি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনের জামিন আবেদনের শুনানি নিয়মিত আদালত খোলা পর্যন্ত মুলতবি রাখার আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এই আবেদনে রফিকুল আমীনের জামিন চাওয়া হয়েছে।
১৫ জুন এই একই আদালত রফিকুল আমীনের জামিনের আবেদন নিয়মিত আদালত খোলা পর্যন্ত মুলতবি রাখার আদেশ দেন। তবে এ আদালতেই দুই মামলায় ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের জামিনের আবেদন শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। তাঁর আবেদন আজকের কার্যতালিকার ৫ ও ৬ নম্বরে রয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ বুধবারের কার্যতালিকার ৭ ও ৮ নম্বরে রয়েছে। আজই এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিক।
২০১৬ সালের ২০ জুলাই ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও এমডি রফিকুল আমীনকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে দুদকের আবেদনে তা স্থগিত করে দেন আপিল বিভাগ। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানির এক পর্যায়ে তাদের লাগানো ৩৫ লাখ গাছের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাছ বিক্রি করে দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকা দেবেন এমন শর্তে আপিল বিভাগ তাকে জামিন দেন আপিল বিভাগ।
অপর দিকে, মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করে দুদক। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ (এমএলএম) ও ট্রি-প্লানটেশন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের মধ্যে তিন হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা এবং এক হাজার ১৭৮ কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার ২০৪ টাকা আত্মসাত করে পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা দুটি করা হয়। ২০১৪ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
গাছ বিক্রি করতে না পারলে নগদ দুই হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিতে বলা হয়।
আবার ২০১৭ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রফিকুল আমীন। সে সময় শুনানিতে ডেসটিনির আইনজীবী আদালতে বলেন, ‘গাছ ছাগলে খেয়ে ফেলেছে।’ এরপর ওই জামিন আবেদন ওই বছরের ৩০ নভেম্বর খারিজ হয়ে যায়। ফলে তাঁদের আর মুক্তি হয়নি।
গতবছর আবারো জামিন চেয়ে আবেদন করা হয় আপিল বিভাগে। ওই বছরের ১৭ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। এ অবস্থায় হাইকোর্টে জামিন চাওয়া হয়েছে।