ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর করা মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের দুই নেতার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। এই দুই নেতা হলেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ও সংগঠনের ঢাবি শাখার সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা।
আজ মঙ্গলবার শুনানি শেষে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
এর আগে ৭ ডিসেম্বর দুদিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। তখন মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মণ্ডল তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগেও কারাগারে আটক দুই আসামিকে গত ৩ ডিসেম্বর আদালতে হাজির করা হয়। সেদিন লালবাগ থানার মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে সেদিন দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাবির এক ছাত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সহ- সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় এ মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে ধর্ষণে ‘সহায়তাকারী’ হিসেবে নুরের নাম উল্লেখ করা হয়।
মামলার প্রধান আসামি করা হয় ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে। ঘটনাস্থল হিসেবে লালবাগ থানার নবাবগঞ্জ বড় মসজিদ রোডে হাসান আল মামুনের বাসার কথা উল্লেখ করা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগ, মো. সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মো. নাজমুল হুদা এবং ঢাবি শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ হিল বাকি।