গত বছর ২১ অক্টোবরের আগ পর্যন্ত পাঁচ বছরে দেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ৩০ হাজার ২৭২টি মামলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে দাখিল করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
এদিকে আইনসচিব, সমাজকল্যাণসচিব এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবের বক্তব্য ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবার (৩০ জুন) ওই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালত আগামী ১৫ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান।
ধর্ষণের মামলায় সালিস করাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট আবেদনে হাইকোর্ট গত বছর ২১ অক্টোবর এক আদেশে ধর্ষণের ঘটনায় গত ৫ বছরে সারা দেশে থানা বা আদালতে কতগুলো মামলা দাখিল হয়েছে তার তথ্য জানাতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
ওই রিট আবেদনে ধর্ষণের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা, সালিস বা মিসাংসা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এবং ইতিপূর্বে এ বিষয়ে দেওয়া তিনটি রায়ের নির্দেশনার বাস্তবায়ন চাওয়া হয়।
বুধবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের পক্ষ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দাখিল হওয়া মামলার তথ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এছাড়া ধর্ষণের ঘটনায় সালিস রোধে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে পৃথক একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩ মার্চ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. রেজাউল করিম স্বাক্ষরে পুলিশ সদর দপ্তরের স্পেশাল ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট শাখা থেকে ধর্ষণ মামলার পরিসংখ্যান হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছিল। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, গত ৫ বছরে সারা দেশে থানাগুলোতে ২৬ হাজার ৬৯৫টি ধর্ষণের মামলা দাখিল হয়েছে।