যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
পাঁচজন সাক্ষ্য দিয়েছেন তাঁরা হলেন এসআই সুমন মিয়া, সিপাহি ফারুক হোসেন, সিপাহী আলেয়া খাতুন, সঙ্গীয় ফোর্স জীবন চন্দ্র ও বাড়ির ম্যানেজার দীপ্ত দাস।
বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে তাঁরা এ সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে টানা তিন দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো।
৩১ আগস্ট মামলার জব্দ তালিকার সাক্ষী র্যাবের উপপরিদর্শক সাইফুল আলম আদালতে সাক্ষ্য দেন। পরের দিন ১ সেপ্টেম্বর তাঁকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
একইদিন মামলার বাদী র্যাবের ডিএডি শফিকুল ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য শেষ হয়।
২৫ আগস্ট আদালত অভিযোগ গঠন করেন। পরে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৩১ আগস্ট, ১, ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। গত ১৮ আগস্ট শুনানির জন্য আদালত এ দিন ধার্য করেন।
গত ২৯ জুন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাবের উপ-পরিদর্শক আরিফুজ্জামান শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র আইনে করা মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেখানে ১২ জনকে সাক্ষী করা হয়।
২৪ ফেব্রুয়ারি শেরেবাংলা নগর থানার অস্ত্র মামলায় পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে ১০ মার্চ একই মামলায় ফের দুজনকে পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
২৩ ফেব্রুয়ারি ফার্মগেট এলাকার ২৮ নম্বর ইন্দিরা রোডে অবস্থিত রওশন’স ডমিনো রিলিভো নামক বিলাসবহুল ভবনে পাপিয়া দম্পতির দুটি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় র্যাব।
একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ ও নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড জব্দ করা হয়।
২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এসময় তাঁদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, নগদ দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল মুদ্রা, ১১ হাজার ৯১ ইউএস ডলারসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়।