৬ মাসের জন্য এই ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে।একইসঙ্গে আইন ভঙ্গ করে প্রকাশিত ফল কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বুধবার এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৩ এর ৭ ধারায় বলা হয়েছে, এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদগুলির ৬০ শতাংশ মহিলা প্রার্থীদের দ্বারা, ২০ শতাংশ পৌষ্য প্রার্থীদের দ্বারা এবং বাকি ২০ শতাংশ পুরুষ প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম ও ব্যারিস্টার বাবুল আহমেদ। অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম বলেন, গত ২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত ফলাফলে আইনের বিধান অনুসরণ করা হয়নি।
তাই প্রতিকার চেয়ে নীলফামারীর ২০ জন এবং বরগুনায় ১ জন নিয়োগপ্রার্থী ওই ফলাফলের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এই ২ জেলার ফল স্থগিত করে রুল জারি করেন।এরই প্রেক্ষিত নীলফামারীর ২৬৬ জন এবং বরগুনায় ৪০৩ জন সহকারী শিক্ষকের ফল স্থগিত করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, গত ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ হাজার ১৪৭ জন প্রার্থীকে বাছাই করে ফলাফল প্রকাশিত হয়।