স্ত্রী ও নিজ মেয়েকে হত্যার অভিযোগে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া খুলনা জেলার নারিকেলি চানপুরের বাসিন্দা জাহিদ শেখকে ২০ বছর পর খালাসের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগ।
জাহিদ শেখের বিরুদ্ধে স্ত্রী ও মেয়েকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী সারওয়ার আহমেদ।
মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
১৯৯৭ সালে বাগেরহাটে নিজ বাড়িতে জাহিদ শেখের স্ত্রী রহিমা ও তার মেয়ে রেশমা খাতুন খুন হন। পরে রহিমার বাবা মো. ময়েন উদ্দিন শেখ বাগেরহাটের ফকিরহাট থানায় বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামি হিসেবে জাহিদ শেখকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিচারিক আদালতের বিচার প্রক্রিয়া শেষে আসামিকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
২০০৪ সালে বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের শুনানির জন্য তা (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে আসে। শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখেন। এদিকে ২০০৭ সালে মামলাটি আপিল বিভাগে আসে।
দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা মামলাটি প্রধান বিচারপতি নজরে আসে। এরপর থেকেই মামলাটির শুনানি শুরু হয় এবং শুনানিতে মামলাটির বিভিন্ন অসংঙ্গতি প্রকাশ পায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে জাহিদ শেখকে খালাস দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে রায় প্রদান করেন আপিল বিভাগ।