গত ১১ মে থেকে জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হওয়ার পর থেকে গত ১৬ জুলাই পর্যন্ত মোট ৫০ কার্যদিবসে সারা দেশে নিম্ন আদালত থেকে কারাবন্দি ৬৭২২৯ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন ৫২৭৮২ জন। সবমিলে এক লাখ ২০ হাজার ১১ জন জামিন পেয়েছেন।
নিম্ন আদালতে গত ১১ মে থেকে গত ২৩ জুলাই পর্যন্ত ভার্চুয়াল শুনানি নিয়ে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৩৯৯টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করে কারাবন্দি ৬৭ হাজার ২২৯ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে গত ১৯ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৫ কার্যদিবসে ১৫ হাজার ৪৯৫টি আবেদন নিষ্পত্তি করে ৬ হাজার ৮২২ জনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। এই ৫০ কার্যদিবসে মোট জামিন পাওয়া শিশুর সংখ্যা ৭৫৫। এদের মধ্যে অভিভাবকের হাতে পৌছে দেওয়া হয়েছে ৭৪৬টি শিশুকে।
রবিবার সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৫ জুলাই থেকে সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিভিন্ন মামলায় আসামিদের আত্মসমর্পণ শুরু হয়। ওইদিন থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ১৫ কার্যদিবসের ওই আদালত থেকে ১৬২১৭টি মামলায় স্বশরীরে আত্মসমর্পনকারী ৫২ হাজার ৭৮২ আসামি জামিন পেয়েছেন। এরমধ্যে শেষ সপ্তাহে জামিন পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৯৬ জন। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে গত এক সপ্তাহে কারাগারে পাঠানো হয়েছে ৯৩৮ জনকে।
২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে নিয়মিত আদালত বন্ধ। এ প্রেক্ষাপটে ভার্চুয়াল আদালত চালু করতে গত ৯ মে আদালতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ, ২০২০ নামে গেজেট প্রকাশ করে। এরপর ১১ মে থেকে ভার্চুয়াল আদালত কার্যক্রম শুরু হয়। সারাদেশে আদালতগুলোতে নির্ধারিত নিয়ম অনুসরণ করে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানি করা হচ্ছে। আর গত ৫ জুলাই থেকে স্বশরীরে আত্মসমর্পন করেও জামিন পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।