প্রতিনিয়ত সাংবাদিক লাঞ্চিত হচ্ছে।চলমান সাংবাদিক নির্যাতন চরম উদ্বেগের বিষয়।শনিবার(২১শে মার্চ)সকাল ১০ ঘটিকার সময় আখাউড়ার মোগড়া ইউপির মোগড়া গ্রামের শফিকুর রহমান(৫৫)এর বাড়িতে সংবাদ সংগ্রহকালে সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়।
হামলায় গুরুতর আহত হয়েছে এশিয়ান টেলিভিশনের আখাউড়া উপজেলা প্রতিনিধি অমিত হাসান আবির (২৫), দৈনিক আমাদের বাংলার আখাউড়া উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ ইসমাইল হোসেন(৩৩)এবং দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশের আখাউড়া উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ জুয়েল মিয়া(২৫)। হামলায় সাংবাদিক আবির,সাংবাদিক জুয়েল ও ইসমাইলের মারাত্মক ভাবে আহত হয়। প্রত্যেকের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে জখম ও রক্তাক্ত হয়।
হামলায় আহত সাংবাদিকরা জানান,আজ সকাল ১০ ঘটিকার সময় আখাউড়ার মোগড়া ইউনিয়নের মোগড়া গ্রামের অধিবাসী মোঃ শফিকুর রহমান(৫৫) পিতা মৃত আব্দুল ওহাব আমাদেরকে মুঠোফোনে জানান যে তার বাড়িতে একদল সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও ভুমিদস্যু হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং তার ছেলে মেয়েদের মারধর করে। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা যখন ঘটনাস্থলে প্রবেশ করে তখন উৎপেতে থাকা আবু সায়েদ(৫৫)পিতা আবদুল ওহাব, সুমন মিয়া(৩২) পিতা আবু সামাদ, বাকের খন্দকার(৪০) পিতা অজ্ঞাত, গোলাম মোস্তফা(৫০) পিতা-মৃত আব্দুল জলিল, আব্দুল কাদের(৩৫) পিতা-মৃত আব্দুল জলিল, আবুল কাশেম(৩০) পিতা-মৃত আব্দুল জলিল, জবিউল্লাহ (২০)পিতা মোস্তফা,নাইম(১৮)পিতা আব্দুল কাদের, রহিমা খাতুন (২৪)পিতা আবু সামাদ সহ তার দলবল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিকদের উপর হামলা করে এবং সাংবাদিকদের ব্যাবহৃত মোবাইল , ভিডিও ক্যামেরা(আনুমানিক মূ্ল্য ১লাখ ২০ হাজার টাকা) এবং সাথে থাকা মোট ১১ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তারা।
পরে সাংবাদিকরা গুরুতর আহত অবস্থায় আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহন করেন।অভিযোগকারী শফিকুররহমান(৫৫) সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমার প্রতিবেশী মৃত আব্দুল জলিলের তিন ছেলে ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গরা আমাদের মারধর, হামলা ও অত্যাচার করে আসছে। সাংবাদিক আবির বাদী হয়ে আখাউড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। হামলার ঘটনায় মোগড়া ইউপি চেয়ারম্যান জনার মনির সাহেব জানান, হামলাকারীদের সর্বোচ্চ বিচারের জন্য আমি সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবো।আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)জনাব তাহমিনা আক্তার রেইনা বলেন, অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ওসি রসুল আহমেদ নিজামী বলেন, মামলা নেয়া হয়েছে, আমি খবর পাওয়ার পর ফোর্সসহ এসআই নিতাইকে পাঠিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ক্যামেরাটি উদ্ধার করা হয়েছে। দ্রুত আসামীদেরকে গ্রেফতার করার চেষ্টা অব্যাহত আছে। সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম আশুলিয়া কমিটি। কমিটির সভাপতি মোঃইয়াসিন বলেন, আমরা আর একজন সাংবাদিক নির্যাতনের কথা শুনতে চাইনা, দ্রুত সরকাকে এর দায়ভার গ্রহন করে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন করতে হবে। এ ছাড়াও আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাব এবং বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম(বিএমএসএফ) এর আখাউড়া উপজেলার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষী ব্যাক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির জোর দাবী জানান।