পাবনার আটঘরিয়ায় উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কেএম রইচ উদ্দিন রবি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জিন্নাত আলীর উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আটঘরিয়া থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা হয়েছে। এই মামলায় আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এদিকে গত রাতে মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফরিদ মিয়া (২৫) নামের এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মামলার ৭ নম্বর আসামী ফরিদ মাজপাড়া ইউনিয়নের রামেশ^রপুর গ্রামের মো: মোক্তার খার ছেলে।
এর আগে বুধবার রাতে মাজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক জিন্নাত আলী বাদী হয়ে আটঘরিয়া থানায় ৭জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিফ মো: সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চলছে। বাকী আসামীদের খুব দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।
উল্লেখ্য, মাজপাড়া ইউনিয়নের সরাবাড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও আহত রইচ উদ্দিন রবির অভিযোগ, ইউনিয়নের ৫ নাম্বার ওয়াডের সরকারের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে হতদরিদ্রের জন্য ২৫ শত টাকার সাহায্যের তালিকা যাচাই করার দায়িত্ব পরে তার উপর। তিনি যাচাই বাছাই শেষে দেখতে পান বেশিরভাগ আইডি কাড ও মোবাইল নম্বর ভুয়া এব রাঘবপুর গ্রামের মত আব্দুস সাত্তার বিশ্বাসের ছেলে শামসুল ইসলাম বিশ্বাস ৫ বছর আগে মারা গেছেন তারও নাম তালিকায় রয়েছে। সব বিষয় তুলে ধরে তিনি সঠিক রির্পোট পেশ করেন। রির্পোটটি তাদের বিরুদ্ধে গেলে তারা আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়। গত কয়েকদিন ধরে তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকী দিয়ে আসছিল। পরে সুপরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীরা মঙ্গলবার রাতে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালায়।
তার অভিযোগে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে আমি রামেশ্বরপুর বাজার থেকে মোটর সাইকেল যোগে মাজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক জিন্নাত আলীর সাথে মোটর সাইকেল যোগে বাড়ী তারা বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ১০/১৫জনের একদল সন্ত্রাসী পথ গতিরোধ করে লাঠি শোঠা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারীভাবে মারপিট ও কুপাতে থাকে। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসনীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে আটঘরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করে।