আব্দুল ওয়াদুদ, বগুড়াঃ বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার পল্লীতে এক হাফেজের ধ’ষর্ণে পঞ্চম শ্রেণির শি’শু তিন মাসের অ’ন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। ধর্ষ’ণের শি’কার শি’শুটি এলাকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলে যাওয়ার আগে প্রতিদিন সকালে এলাকার অন্য শি’শুদের সঙ্গে সেও গ্রামের হাফেজ রুহুল কুদ্দুস (৫৫) এর বাড়িতে আরবি পড়তে যায়।
সেদিন হাফেজের বাড়িতেও পরিবারের লোকজন কেউ ছিল না। পড়া শেষে সবাইকে ছুটি দিলেও শি’শুটিকে ছবক নেবেন (পড়া ধরবেন) বলে হাফেজ রুহুল কুদ্দুস তাকে বসতে বলে। অন্য শিশুরা চলে যাওয়ার পর ল’ম্পট হাফেজ তাকে ধ’র্ষণ করে। মেয়েটি চিৎকার করতে থাকলে তার মুখে কাপড় চাপা দিয়ে তাকে ধ’র্ষণ করে হাফেজ রুহুল কুদ্দুস। এক পর্যায়ে ধ’র্ষণের কথা কারো কাছে বললে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে ওই হাফেজ শি’শুটিকে শাসিয়ে বিদায় দেয়। এই ভয়ে শি’শু বাড়িতে পরিবারের কাউকে জানায়নি।
এ ঘটনা জানা জানির পর থেকে হাফেজ রুহুল কুদ্দুস প’লাতক রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাজগ্রাম ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামে। এ ঘটনায় হাফেজ রুহুল কুদ্দুসের দুই ভাতিজাকে আটক করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বাবা-মা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান। গত ৪ জুলাই নন্দীগ্রাম হেলথ কেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারে শি’শুটির আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। ওই রিপোর্টে মেয়েটিকে তিন মাসের গ’র্ভবতী বলে উল্লেখ করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে, থা’না অফিসার ইন’চার্জ (ও’সি) মোহাম্মদ শওকত কবির বলেন, শি’শু শিক্ষার্থী অ’ন্তসত্বা ঘটনায় মাম’লার প্রস্তুতি চলছে। দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আ’টক করা হয়েছে। হাফেজ রুহুল কুদ্দুসকে গ্রে’প্তার করতে পু’লিশ মাঠে রয়েছে।
অন্য দিকে এ ঘটনা জানাজানি হলে স্কুল এবং এলাকায় ব্যাপক তেলপাড় ও ক্ষো’ভের সৃষ্টি হয়। দো’ষী ব্যক্তির দৃষ্টা’ন্তমূলক শা’স্তির দাবিতে উত্তা’ল হয়ে উঠেছে পুরে এলাকা। একপর্যায়ে গত ৮ জুলাই গ্রামের মাতব্বর এনামুল হক, এসরাক আলীর নেতৃত্বে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধাপাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। তবে শি’শুর বাবা আব্দুল হালিম রাজি হয়নি। স্কুলছাত্রীর ফুফু মরজিনা বেগম বলেন, মেয়ের বাবা একজন ভটভটি চালক। আমাদের কোনো লোকজন নেই। হাফেজ বিত্তশালী হওয়ায় অনেকেই বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে। আমি প্রশা’সনের কাছে এ ঘটনার ন্যায়বিচার চাই।
