নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা রেললাইন বটতলা এলাকায় অবস্থিত শাহফতেউল্লাহ টেক্সটাইল ও জালাল আহমেদ স্পিনিং মিলের শ্রমিকরা লকডাউনে ভিতরে কাজ করার পরেও শতভাগ বেতন দাবী করায় শ্রমিকদের উপর নির্মম নির্যাতন করেছে মিল কর্তৃপক্ষ। মিল দুটোই বিএনপি নেতা শাহ আলমের মালিকানাধীন বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৩ মে) সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা থানা এলকার শাহ ফতেউল্লাহ টেক্সটাইল ও জালাল আহমেদ স্পিনিং মিলের শ্রমিকদের সাথে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় আহত শ্রমিকরা জানান, আজ (১৩ মে) এখনও আমাদের বেতন দেওয়া হয়নি। আমরা জানতে পারছি মিলের মালিক আমাদের শতভাগ বেতন দেওয়ার কথা বলেছে কিন্তু মিলের কর্মকর্তারা আমাদের হাফ বেতন দিবে বলে আমরা এর প্রতিবাদ করে শতভাগ বেতন দাবী করায় আমাদেরকে মিলের কর্মকর্তারা অনেক মারধর করে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্প পুলিশ সুপার ( এ এসপি) মো. আমিরুল হোসেন দেওয়ান বলেন, শাহাফতুল্লা টেক্সটাইল ও জালাল আহমেদ স্পিনিং মিলের শ্রমিকরা সরকার নির্ধারিত ৬০ শতাংশ দেওয়ার কথা শুনে শতভাগ বেতনের দাবী করে। তবে আমি কোথাও কোনো আহত হওয়ার খবর পাইনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমি নিজে মালিককে আরও ৫ শতাংশ বেতন বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। এবং মালিক পক্ষ সরকার নির্ধারিত ৬০ শতাংশের সাথে আরও ৫ শতাংশ বেতন বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এসময় নাম নাপ্রকাশ করা এক শ্রমিক বলেন, এসময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শ্রমিক বলেন, আমাদেরকে লকডাউনে বন্ধ কম দেওয়া হয়েছে। ২৬ শে মার্চেও আমাদের কাজ করিয়েছে জোরপূর্বক। না আসলে আমাদের বেতন কাটা যাবে। এখন বেতনের সময় আমাদের বেতন কম দেবে। সরকার ঘোষিত ৬০ ভাগ বেতনের জায়গায় ১০ বাড়িয়ে ৭০ ভাগ দাবি করেছি। এর কারণে মিলের ভেতরে আমাদের মারধর করেছে। আমাদের মা-বোনদের গায়ে হাত দিয়েছে কেন? আমরা এর বিচার চাই।
ঘটনার সত্যতা যাচাই জন্য শাহাফতুল্লা টেক্সটাইল ও জালাল আহমেদ স্পিনিং মিলের কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে চাইলে কেউ কথা বলতে রাজি হননি। পরে মিলের স্টাফ মো. আসলাম এর ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এবং মেইলের এডমিন বদরুল আলম এর সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনিও ফোন ধরেননি।