চাঁদাবাজির অভিযোগে ঈশ্বরদী থানার তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী আবুল কাশেম লোলো (৩৪) গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার ফতেমোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সে ওই এলাকার মৃত মঞ্জুর আলমের ছেলে।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে শিশির আহম্মেদ রুহুল নামের এক যুবক ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ফতেমোহাম্মদপুর এলাকায় গেলে পথে লোকসেড ফুটবল মাঠ একটি দোকানের সামনে লোলোসহ ছয়-সাতজন সন্ত্রাসী তাঁর পথরোধ করে। তারা শিশিরের সঙ্গে এক মেয়ের সম্পর্ক আছে দাবি করে তাঁকে মারধর করতে থাকে। তখন আসামি যুবকের কাছে চাঁদা দাবি করেন।
টাকা না দেওয়ায় ওই সময় আসামিরা মারধরও করেন। একপর্যায়ে আসামিরা ভুক্তভোগীর কাছে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেন। বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সকালে ওই যুবক ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এরপর ফতেমোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুপুরে তাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে লোলোর দেখিয়ে দেয়া বাড়ির পাশের এক স্থানে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় একটি তলোয়ার, রামদা ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার বাড়িতে পাশে অস্ত্র লুকিয়ে রাখার তথ্য দিলে তাকে নিয়ে অভিযান চালানো হয়। এই সময় বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় এক একে তলোয়ার, রামদা ও দেশীয় উদ্ধার করা হয়।
ওই অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: ফিরোজ কবির জানান, লোলোর বিরুদ্ধে খুন, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক, বিস্ফোরক দ্রব্য রাখাসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ১২টি মামলা ছিল ঈশ্বরদী থানায়।