কুমিল্লার হোমনায় ঘরে ঢুকে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় হাত পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী ষাট বছরের বৃদ্ধ রিকশাচালক আবদুল মতিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার নির্মমতা শুনে ব্রেন স্ট্রোক করেছেন ওই ছাত্রীর চাচি।
উপজেলার শ্রীমদ্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হোমনা থানায় একটি মামলা করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আবদুল মতিন তাদের প্রতিবেশী এবং স্কুলছাত্রীর আপন মামার শ্বশুর। বৃহস্পতিবার সকালে ওই স্কুলছাত্রী ও তার ছোট ভাই তাদের ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। এ সময় মতিন ঘরে ঢুকে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় ওড়না দিয়ে তার হাত, পা ও মুখ চৌকির সঙ্গে বেঁধে ধর্ষণ করে। এদিকে আপত্তিকর অবস্থায় মতিনকে পালিয়ে যেতে দেখেন স্কুলছাত্রীর চাচাতো বোন। ঘর থেকে গোঙানির শব্দ শুনে তার মুখ ও দুই হাত বাঁধা দেখতে পান। ভাতিজির এই ঘটনা শুনে ব্রেন স্ট্রোক করেন স্কুলছাত্রীর চাচি।
শুক্রবার ৮ নম্বর পৌর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল কাদিরের সহায়তায় হোমনা থানায় মামলা করেন ধর্ষিতার পরিবার।
স্কুলছাত্রীর মা বলেন, সেদিন আমি এবং আমার স্বামী ক্ষেতে কাজ করছিলাম। আমার মেয়ে আর তিন বছরের শিশু ছেলে ঘরে ঘুমাইতেছিল। এই সুযোগে মতিন আমার মেয়ের হাত, পা ও মুখ বেঁধে ইজ্জত নষ্ট করে।
চাচা বলেন, মামলার ব্যাপারে শনিবার সকালে আসামি মতিনের ছেলেরা এসে আমাদেরকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়েছে।
কাউন্সিলর আবদুল কদির বলেন, সুবিচার পাওয়ার জন্য তার পরিবারকে আইনিভাবে সহযোগিতা করেছি।
হোমনা থানার ওসি আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, আসামি নদী পার হয়ে অন্য উপজেলায় চলে গেছে, সেখানেও আমরা অভিযান চালিয়েছি। স্কুলছাত্রীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মতিনের ছেলেরা ভয়ভীতি দেখালে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।