নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ দাগনভূঞায় তাবিজ ও ঝাড়ফুঁক দেওয়া কথা বলে নারীদের শ্লী’লতাহানির অভিযোগে মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকীকে (৫৫) রোববার সন্ধ্যায় গ্রে’প্তার করেছে পু’লিশ। ইউসুফ সিদ্দিকী উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের ইছাহাকীয়া দাখিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল ও স্থানীয় জামাতের দায়িত্বশীল বলে জানা গেছে। এর আগে এক নারী শ্লীল’তাহানির অভিযোগ অভিযুক্ত ইউসুফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে থা’নায় মা’মলা দায়ের করে।
ভুক্তভোগী নারী অভিযোগে উল্লেখ করেন, অনেকে ওই মাদ্রাসার হুজুর থেকে তাবিজ ও ঝাড়ফুঁক নিয়ে থাকেন। তাই তিনি তার শিশু সন্তান বুকের দুধ পান না করায় তার শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে গত ৩ জুলাই ইছাহাকীয়া দাখিল মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকীর কাছে তাবিজ এর জন্য ওই মাদ্রাসায় যান। এ সময় ইউসুফ সিদ্দিকী কৌশলে তার শশুর-শাশুরীকে আরেক কক্ষে পাঠিয়ে তাকে জোরপূর্বক শ্লিলতাহানীর চেষ্টা চালান। সেখান থেকে বের হয়ে ভুক্তভোগী নারী বিষয়টি তার স্বজনদের জানালে এই ঘটনায় রোববার বিকেলে দাগনভূঞা থানায় অভিযোগ করে।
অভিযুক্ত ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকী অবস্থা বেগতিক দেখে ওই নারীর কাছে দোষ স্বীকার করে নেয়। একই সাথে ক্ষমা চেয়ে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এই ঘটনা ধামাচাপা দেয়ারও চেষ্টা করে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই মাদ্রসার দোতলার এই কক্ষটিকে ব্যবহার করে জামাত নেতা ইউসুফ সিদ্দিকী দীর্ঘদিন যাবৎ তাবিজ-কবজ আর ঝাড়ফুঁকের নামে নারীদের তার লালসার শিকার বানিয়ে আসছেন। তবে লোকলজ্জার ভয়ে তারা এতদিন নিরব ছিলেন। ওই নারীর এঘটনাটি জানাজানি হলে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি জানান, অভিযুক্ত ইউসুফ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধ রিয়েল এস্টেট ব্যবসার নামে প্র’তারনা করে মানুষ থেকে লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রায়াত মাওলানা শাহ্ ছুফি মোহাম্মদ ইছহাক সাহেবের হাতে ১৯৩৬ সালে গড়া এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক ইউসুফকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবী করেছে স্থানীয়রা।
ইছাহাকীয়া দাখিল মাদ্রাসা প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল আমিন জানান, অভিযুক্ত শিক্ষকের অপকর্মের দ্বায়ভার প্রতিষ্ঠান নিবেনা। অপরাধ করলে অবশ্যই তার শাস্তি পেতে হবে।
দাগনভূঞা থা’নার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম শিকদার জানান, ভূক্তভোগী ওই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে সন্ধ্যায় তার গ্রাম এনায়েত নগর থেকে মাওলানা ইউসুফ সিদ্দিকীকে গ্রে’প্তার করা হয়েছে। সে ওই গ্রামের মৃত দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে।