রাজধানীর অদূরে আশুলিয়ায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যসহ ৪ জনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশি অস্ত্র, একটি গাড়ি, মাদক ও পুলিশের স্টিকার জব্দ করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৭ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম।
আটককৃতরা হলেন- আশুলিয়া থানায় কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার তছলিম উদ্দিনের ছেলে মো. মমিনুর রহমান (৩৫), নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার বন্দর খড়িবাড়ী গ্রামের মো. আ. লতিফের ছেলে মো. আ. হামিদ (৩২), গাইবান্ধা জেলা সদর থানার চৌদ্দগর গ্রামের তোফাজ্জলের ছেলে মো. ওয়াহেদ (৪০) ও জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার চরগুহিন্দি গ্রামের মো. সুরুজ শেখের ছেলে মো. ওয়াজেদ শেখ (২৩)।
তিনি বলেন, আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার নিগার প্লাজায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
র্যাব-৪ জানায়, নূর উদ্দীন (৪৬) নামের একজন অভিযোগ করেন, কিছু অসাধু ব্যক্তি ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে ও দেশি অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ২৫ জুলাই রাত ১১টার দিকে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় তার ফার্মেসিতে এসে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৬৩ হাজার টাকা চাঁদা নেয়। সেই সঙ্গে দুই দিনের আরও ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানিয়ে যায়। তার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ডিবি পরিচয় দেওয়া চার জনকে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের থেকে একটি সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস, বেশকিছু দেশি অস্ত্র, ১টি ওয়াকিটকি সেট, ১টি হ্যান্ডকাফ, ১টি পুলিশ আইডি কার্ড, পুলিশ লিখা স্টিকার, ১টি সিগন্যাল লাইট, ৪৮০ গ্রাম গাঁজা, ১৯০ পিস ইয়াবা, ১৬টি বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড, জাল ৩৭ হাজার টাকা, মাদক বিক্রির নগদ ২৮ হাজার ৮১৫ টাকা, বিভিন্ন রংয়ের ৭টি মানিব্যাগ এবং ১২টি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।
সাজেদুল ইসলাম সজল আরও বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে ডাকাতির প্রস্তুতি, চাঁদাবাজি, মাদকদ্রব্য বিক্রয় ও জাল নোট রাখার অপরাধে সকালে আশুলিয়া থানায় চারটি মামলা করা হয়েছে। দুটি মামলার বাদী র্যাব এবং দুটি মামলার বাদী ভুক্তভোগী।