শ্রীনগরে দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ করে জরিমানার টাকা ভাগ করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সন্ধ্যায় জরিমানার অর্থ ভাগ বাটোয়ারার এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ৪ জানুয়ারি গভীর রাতে উপজেলার উমপাড়া এলাকায় আক্তারের রাইস মিলের ৩ শ্রমিক মিনার, মুকুল ও মমিনুল মাঝ বয়সী এক নারীকে ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা ওই নারীর চিৎকারে ওই এলাকার মঞ্জু মিয়া নামে এক পথচারী ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা মেম্বার ফিরোজা বেগম ওই নারীকে জিম্মায় নেন। পরে আরেক ইউপি মেম্বার লিপটন ও সালিশদার সেলিমকে নিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে সালিশ বসান।
সালিশে ৩ ধর্ষককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ধর্ষিতাকে দেহ ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে এলাকা ছেড়ে যেতে বলা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় ৩ ধর্ষক তাদের জরিমানার টাকা মেম্বারদের হাতে তুলে দিলে তারা তা ভাগ করে নেন।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য লিপটন ধর্ষণ ও সালিশের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন জরিমানার টাকা মহিলা ইউপি সদস্যের কাছে রয়েছে।
মহিলা ইউপি সদস্য ফিরোজা বেগম বলেন, আমার ওয়ার্ড এখানে আমি কি করব কি করবনা তা কাউকে বলতে বাধ্য নই।
ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি কেউ তাকে জানায়নি। তবে ধর্ষণের ঘটনা সালিশ অযোগ্য অপরাধ।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হেদায়াতুল ইসলাম ভূঞা বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। তবে খোজ নিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তথ্যসূত্রঃ AwajBD