পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর বাউফলে চাঞ্চল্যকর যুবলীগ কর্মী তাপস হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সাইমুন প্যাদাকে (২০) গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। ৩১মে রবিবার ভোর চারটায় ঢাকার বাবুবাজারের একটি কর্মজীবী হোষ্টেল থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
পটুয়াখালীর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে সাইমুনকে। এরপর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বাউফল পৌর শহরের ৫নং ওয়ার্ডের সাহাপাড়া থেকে সনজিৎ সাহা ওরফে সুনু সাহার বাড়ির কাছের একটি ডোবা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আল মামুন জানান, সাইমুনকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ মে রবিবার দুপুর দুইটায় তোরণ নির্মাণকে কেন্দ্র করে সাবেক চিফ হুইপ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আসম ফিরোজের সমর্থিত নেতা কর্মীদের সাথে বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় আসম ফিরোজ সমর্থিত যুবলীগ কর্মী তাপস দাসকে (২৯) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম করা হয়। ওই দিনই গুরুতর আহত অবস্থায় তাপস ও ইমাম নামের আরেক যুবলীগ কর্মীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসারত অবস্থায় ওই দিনই রাত সাড়ে সাতটায় তাপসের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত তাপসের ভাই পংকজ দাস বাদী হয়ে বাউফল থানায় বাউফল পৌর মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল ও প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধি মিজানুর রহমান সহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।