গোপালগঞ্জে পুলিশি হেফাজতে নির্যাতনে কৃষক নিখিল তালুকদারের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন চেয়েছে মানবাধিকার কমিশন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহানা সাঈদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, মঙ্গলবার বিকালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার রামশীল বাজারের ব্রিজের পূর্ব পাশে নিখিলসহ চারজন বসে সময় কাটাতে তাস খেলছিলেন। এ সময় কোটালীপাড়া থানার এএসআই শামীম উদ্দিন ঘটনাস্থলে জনৈক ভ্যানচালক ও অপর যুবককে নিয়ে গোপনে মোবাইলফোনে তাস খেলার দৃশ্য ধারণ করে। বিষয়টি টের পেয়ে তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলেও নিখিলকে এএসআই ধরে মারপিট শুরু করেন। মারপিটের এক পর্যায়ে নিখিলকে উপর্যুপুরি আঘাত করলে তার মেরুদণ্ড ভেঙে যায়।
পরে নিখিলকে প্রথমে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি বুধবার বিকালে মারা যান।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন মনে করে, ওই ঘটনায় মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর একজন সদস্যের এ ধরনের অপেশাদারি আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে কমিশন এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন চেয়েছে।