মিতু আক্তার (১৫)। কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে একটি ছোট গ্রামে পরিবারের সাথে বসবাস তার। মিতু নিয়ামতপুর আংগুরাকান্দা গ্রামের আব্দুর রউফের মেয়ে। নিয়ামতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। লেখাপড়ায় অত্যন্ত মেধাবী।
একই গ্রামে বসবাস করে নভেল (২২) নামের এক বখাটে যুবক। নভেল কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলার সিংপুর গ্রামের ফাইজুল ইসলামের ছেলে। বখাটেপনা আর মেয়েদের উত্যক্ত করাই ছিল তার কাজ। বখাটে নভেলের চোখ পড়ে স্কুল ছাত্রী মিতুর উপর। বিভিন্ন সময়ে পথেঘাটে মিতুর গতিরোধ করে বিভিন্ন রকমের অশালীন মন্তব্য ও বিরক্তি করতে থাকে সে। মিতু এই ব্যাপারটি তার পরিবারের সাথে আলোচনা করে। করোনা পরিস্থিতির কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় তার পরিবার বিষয়টি এড়িয়ে যান।
বিপত্তি ঘটে ১১ আগস্ট। ওই দিন বেলা এগারোটায় মিতু তার বাড়ি থেকে নিয়ামতপুর বাজারে যায়।মিতুকে একা পেয়ে তার গতিরোধ করে বসে বখাটে নভেল। একপর্যায়ে মিতুকে আটকে প্রেমের প্রস্তাব করে নভেল। কিন্তু মিতু নভেলের প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বখাটে নভেল মিতুকে ঘটনাস্থলেই মারধর করে। সে তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে মিতুর বুকে, পেটে ও পিঠে অন্তত ৮টি ছুরিকাঘাত করে।
আহত মিতুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঘটনাটি দৃষ্টিগোচর হয় কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের। পুলিশ অভিযুক্ত নভেলকে ধরতে তৎপরতা শুরু করে।তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নভেলের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় পুলিশ রুদ্ধশ্বাস অভিযানে ৮ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্ত বখাটে নভেলকে নিয়ামতপুর বাজারের পাশের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার করে।
এ সংক্রান্তে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।