স্টাফ রিপোর্টারঃ বান্দরবানের জামছড়িতে সন্ত্রা’সীদের গু’লিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচনু মারমা (৪৮) নি’হত হয়েছে। এসময় আ’তঙ্কে স্ট্রোক করে মা’রা গেছেন বাখোয়াই মারমা (৬৩) নামে এক বৃদ্ধ।
সেই সাথে সাবেক এক ইউপি মেম্বার ও যুবলীগের নেতাসহ গু’লিবি’দ্ধ হয়ে আহত হয়েছে আরো ৫ জন। ২২ ফেব্রুয়ারি শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নে জামছড়ি এলাকায় এঘটনা ঘটে। নিহ’তের বাড়ি জামছড়ির ভিতর পাড়া এলাকায়।
আই’ন-শৃঙ্খলা বা’হিনী ও স্থানীয়রা বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের জানায়, জেলা সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নে জামছড়িতে অ’স্ত্রধারী ১০-১২ জনের একটি সন্ত্রা’সী গ্রুপ এলোপাথাড়ি গু’লি ছুঁড়ে। এ সময় তাদের গু’লিতে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতিসহ ২ জনের মৃ’ত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় সাবেক যুবলীগের নেতাসহ আরও ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন সাবেক মেম্বার উচ থোয়াই (৬৫), যুবলীগ নেতা মংক্যা চিং মারমা (২৫), যুবলীগ নেতা হ্লামং চিং (৩০) ক্যাপোমং (৪৫) এবং প্রতিবন্ধী আধাসী (২৬)।
সেসময় আতঙ্কে পাহাড়ি গ্রামের মানুষেরা দিকবিদ্বিক ছুটাছুটি করে। জামছড়ি বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে দেয়।তখন এলাকার চারদিকে নেমে আসে সুনসান নীরবতা।
খবর পেয়ে, পুলিশ, সেনাবাহিনীসহ আ’ইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বা’হিনী এবং প্রশা’সনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলের আশপাশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। হতাহতদের উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বান্দরবান সদর থা’নার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী সংবাদ কর্মীদের বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে লা’শ উ’দ্ধার করেছি। এছাড়া আহতদের উ’দ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। সন্ত্রা’সীদের ধরতে অভি’যান অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে ঘটনার প্র’তিবাদে জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরেন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমাকে দায়ী করে বান্দরবান শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে। পরে ট্রাফিক মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী, পৌরশাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি অমল কান্তি দাস, সাধারণ সম্পাদক সামশুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান খোকন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাওছার সোহাগ প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগ নেতারা ঘটনার জন্য জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরেন্দ্র বোধিপ্রিয় সন্তু লারমাকে দায়ী করেছেন। দ্রুত হাম’লাকারী সন্ত্রা’সী গোষ্ঠীকে গ্রে’ফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শা’স্তি দেয়া না হলে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী।