মো. হায়দার আলী (৪৪), মো. মাহমুদুল হাসান ওরফে মাসুম, মো. জামিরুল ইসলাম (২৪), মো. বিল্লাল হোসেন (৩৮), মো. শেখ আরাফাত ওরফে জনি (৪৮), মো. ইমরুল হাসান ওরফে ইমন (২৫), মো. সাইফুল ইসলাম (২৫), মো. মোজাম্মেল হক (৩৩), মো. শাহজালাল (৩৪), মো. আক্তারুজ্জামান (৩০), মো. মাহমুদুল হাসান ওরফে সাব্বির (২৩), মো. আবিদ উল মাহমুদ ওরফে আবিদ (২২), মো. সোহাইল সরদার (৩৩), মো. ওবায়দুল ইসলাম ওরফে সুমন (৩০), মাহমুদ হাসান ওরফে শরীফ (১৮), মো. মাজেদুল ইসলাম ওরফে মুকুল ( ২৮) ও মো. সোহাগ হাসান (২০) তারা সবাই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবির) সদস্য।
তারা গত একমাস আগে তাবলিগের নামে কথিত ‘হিজরত’ করে। তারা জঙ্গি কার্যক্রম করার জন্য ঘর থেকে বের হয়ে যায়। সৌদি আরবে গিয়ে তারা কথিত ‘ইমাম মাহাদির সৈনিক’ হিসেবে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে চাচ্ছিলো। তাদের বলা হয়েছিল, করোনার দুর্যোগে আকাশ থেকে এক ধরনের গজব নেমে আসবে এবং সব কিছু ধোঁয়াছন্ন হয়ে যাবে। তখন সীমান্তে কোনও পাহারা থাকবে না। এই সময় তারা যেন চলে আসে।
গত ৪ মে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে কাকরাইল মসজিদ এর বিপরীত পাশে পাবলিক হেলথ্ কার্যালয়ের সামনে থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ১৯টি মোবাইল ফোন, ২ লাখ ৩৪ হাজার বাংলাদেশি টাকা ও ৯২২ আমেরিকান ডলার জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জেএমবির সদস্য বলে স্বীকার করেছেন।
গ্রেফতার ১৭ সদস্যকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৫ মে) শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী তাদের কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।