গত ০৭ মে ২০২১ খ্রি. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল একটি পোস্টের বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং এর দৃষ্টি আকর্ষন করে সচেতন এক নাগরিক একটি বার্তা প্রেরণ করেন। বার্তায় উল্লেখ করা হয়, এক অটো রিকশাচালকের সারারাতের আয় ৬০০ টাকা নিয়ে নিয়েছে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য।
অভিযোগটি গুরুতর হওয়ায় মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং তাৎক্ষনিকভাবে বার্তাটি সংশ্লিষ্ট ইউনিট কমান্ডারগণের নিকট প্রেরণ করে অভিযুক্তদের দ্রুত সনাক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করে। সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, উল্লিখিত ঘটনাস্থলে নিকটবর্তী হাইওয়ে ফাঁড়ির তিনজন সদস্য দায়িত্বরত ছিলেন। এই ঘটনায় পরবর্তীতে একাধিক জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের বার্তার প্রেক্ষিতে গাজীপুর হাইওয়ে রিজিয়নের কমান্ডার আলী আহমদ খান বিষয়টি তদন্তের জন্য তাৎক্ষনিকভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। একইসাথে, অভিযুক্ত তিন সদস্যকে তাৎক্ষনিক এক অফিস আদেশে সাময়িক বরখাস্ত করে তাদেরকে হাইওয়ে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়ে হাইওয়ে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। বরখাস্তকালীন সময়ে উল্লিখিত সদস্যগণ পুলিশ লাইনসে উপস্থিত থেকে নিয়মিত রোল কলে হাজিরা দিবেন এবং এই সময়ে তারা বিধি মোতাবেক কেবল খোরপোশ ভাতাদি প্রাপ্য হবেন।
গঠিত তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট রিকশা চালককে খুঁজে বের করে তার সাথে যোগাযোগ করেছে। তাকে সকল প্রকার সহযোগিতা ও সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দেয়া হয়েছে। সকল সাক্ষ্য প্রমান, তথ্য উপাত্ত এবং প্রাসঙ্গিক বিষয়াদি বিবেচনায় অভিযোগের সত্যতা সাপেক্ষে অভিযুক্ত সদস্যদের বিরুদ্ধে বিধান অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।