বরিশাল-ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন রুটে অসংখ্য লঞ্চ-স্টীমার তথা বিভিন্ন জলযান চলাচল করে থাকে। আর এ সকল জলযানে স্বভাবতই ময়লা-আবর্জনা জমে। বিশেষ করে যাত্রীবাহী লঞ্চে এর আধিক্য বেশি।
লঞ্চ ঘাটে এলে যাত্রীসাধারণ নেমে যাওয়ার পরে লঞ্চের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা লঞ্চ ঝাড়ু দিয়ে লঞ্চের ময়লা-বর্জ্য প্রতিনিয়ত এভাবে নদীতে ফেলছে। ময়লা-আবর্জনায় রয়েছে প্লাস্টিক-পলিথিন জাতীয় অপচনশীল দ্রব্য যা ৫০০ বছরেও নষ্ট হবে না। এতে একদিকে যেমন প্রাকৃতিক পরিবেশ হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে অপর দিকে নদীর নাব্যতা হ্রাসে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। সেই সাথে মাছ ও জলজ জীব বৈচিত্রও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
ঢাকা-বরিশাল রুটে প্রতিদিন ১০/১২টি লঞ্চ যাতায়াত করে থাকে। প্রতিটি লঞ্চ থেকে এভাবে ময়লা ফেলা হচ্ছে বহু আগে থেকেই। একারণে নদীমাতৃক দেশের নদীগুলো দিন দিন করুণ থেকে করুণতর অবস্থার স্বীকার হচ্ছে। তাই লঞ্চকর্তৃপক্ষসহ পরিবেশ রক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়ার এখনই সময়।
দেশকে শুধু মুখে ভালোবাসলেই হবে না। দেশকে সুন্দর ও দূষণমুক্ত রাখতে সকলকে আন্তরিক হতে হবে। লঞ্চের ময়লা-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়টি অতিদ্রুত একটি সুনির্দিষ্ট শৃংখলা-নিয়মের মধ্যে আনয়ন করা হবে এটাই প্রত্যাশা।