রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা থেকে লিবিয়ায় মানবপাচারকারী চক্রের মূল হোতা মোঃ মনির হাওলাদার ওরফে মনির হোসেন (২৬) ও মোঃ সেলিম ওরফে সেলিম শিকদার (৩৫)কে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা গুলশান বিভাগ।
রাত ৮:৩০ টায় যাত্রাবাড়ীর কাজলায় যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে গুলশান জোনাল টিম এবং সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ী চুরি প্রতিরোধ টিম।সম্প্রতি লিবিয়ার মিজদাহ শহরে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা অতিরিক্ত টাকার জন্য তাদের বন্দিশালায় জিম্মি করা ২৬ জন বাংলাদেশীসহ মোট ৩০ জনকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেন এবং নির্মমভাবে আহত করেন প্রতারিত হয়ে ভাগ্য বদল করতে লিবিয়া যাওয়া আরো ১১ বাংলাদেশীকে। যার প্রেক্ষিতে মানবপাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের বিভিন্ন থানায় প্রায় ২৬টির বেশি মামলা দায়েরসহ ইতোমধ্যে ৭১ জন মানবপাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত দুইজন মতিঝিল থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে দায়েরকৃত মামলার এজাহারনামীয় অভিযুক্ত।
এছাড়া অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া গুলশান জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ গোলাম সাকলায়েন, পিপিএম ডিএমপি নিউজকে বলেন, গ্রেফতারকৃত দুইজনসহ তাদের অন্যান্য সহযোগীরা মিলে শরিয়তপুর, মাদারীপুর, ফেনী ও টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সহজ সরল মানুষদের টার্গেট করতেন। তাদেরকে ভালো বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে লিবিয়ায় যেতে আগ্রহী করতেন। এরপর তাদের পাসপোর্ট ও ছবিসহ ঢাকায় দালালদের কাছে পাঠিয়ে দিতেন।
এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরো জানান, মানবপাচার চক্রের অন্যতম মূলহোতা মোঃ মনির হাওলাদার অল্পবয়সী ও অল্প পড়াশুনা করলেও অত্যন্ত চতুর এবং তীক্ষ্ন বুদ্ধি সম্পন্ন হওয়ায় অল্প সময়ের মধ্যেই লিবিয়ার মিলিশিয়া, সেনাবাহিনী ও লোকাল পুলিশের সাথে অবৈধ সখ্যতা গড়ে তুলতে সক্ষম হন। তিনি তাদের সহযোগীতায় প্রত্যক্ষভাবে বেনগাজীর মাঝুরী, ত্রিপোলির সুলেমান এবং জোয়ারার গেইমিং ক্যাম্প পরিচালনা করেন। মনির প্রথমে ২০১০ সালে, দ্বিতীয়বার ২০১৫ সালে এবং তৃতীয়বার ২০১৮ সালে লিবিয়াতে যান। মনির লিবিয়াতে প্রথমে একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে শ্রমিকের চাকরি করতেন। তিনি পরবর্তী সময়ে ভাল চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে জনপ্রতি চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে দেশীয় দালালদের মাধ্যমে অবৈধভাবে শতাধিক লোককে বাংলাদেশ থেকে লিবিয়াতে নিয়ে যান।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ থেকে দুবাই হয়ে লোকজন বেনগাজীতে পৌঁছানোর পর মনির দফায় দফায় তাদেরকে বিভিন্ন বন্দিশালায় আটকে রাখতেন। বন্দিশালায় আটকে রেখে তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে চুক্তির টাকাসহ অতিরিক্ত অর্থ দাবি করতেন এবং প্রচন্ড মারধর করে, মারধরের ভিডিও ধারণ ও কান্নার শব্দ মোবাইল ফোনে রেকর্ডিং করে পাচার হওয়া লোকদের আপনজনের নিকট পাঠাতেন।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদেরকে বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার…
হিরো আলম রবীন্দ্র সঙ্গীত গাওয়ার পর সারা দেশে হইচই শুরু হয়ে যায়। এমনকি ওই প্রতিবাদের…
বর্তমানে পশ্চিমা বিশ্বের সাথে সেমিকন্ডাক্টর চিপ নিয়ে বড় ধরনের যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রেড জায়ান্ট চীন।…
Leave a Comment