বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে চার্জশিটটি দাখিল করা হয়। এতে সাবরিনা ও আরিফকে মূল হোতা বলে উল্লেখ করা হয়। বাকিরা প্রতারণা ও জালিয়াতি করতে তাদের সহযোগিতা করেছেন।
ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে প্রতারণার মামলায় জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য আগামী ২০ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আসামিরা হলেন আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
২৩ জুন সাবরিনার স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরেরদিন ২৪ জুন আরিফ চৌধুরী ও সহযোগী সাঈদ চৌধুরীর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত।
জিজ্ঞাসাবাদেও বেরিয়ে আসে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এর পর ১৫ জুলাই আরিফুলের ফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। ১৬ জুলাই রিমান্ডে মুখোমুখি হন আরিফ-সাবরিনা।১২ জুলাই সাবরিনাকে তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সাবরিনাকে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে করোনা সন্দেহে নমুনা পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। ১৩ জুলাই তাকে তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।
১৭ জুলাই আরো দুদিনের রিমান্ডে নেয় ডিবি। রিমান্ড শেষে ২০ জুলাই আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।