ঈশাত জামান মুন্না: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার অন্তর্গত ভেলাগুড়ি ইউনিয়নে গৃহবধূ ধর্ষককে ছাড়িয়ে নেওয়া ও ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুর রহমান রিপনের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ হাতিবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ ও দায়ের করেছেন।
লেখিত অভিযোগ সুত্রে জানা যায় যে ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন এর উত্তর জাওরানী গ্রামের সাজেদুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ আমেনা বেগম তার স্বামী ঢাকায় চাকুরী করেন। সেই জন্য স্বামীর পৈত্রিক ভিটায় ২৩ বছর বয়সী ছেলে শামীম,সহ দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় যে একই ইউনিয়ন এর আব্দুর ছাত্তার এর পুত্র মহি উদ্দিন মহি বেশ কিছুদিন যাবত তথা ঘটনার আনুমানিক ১৫/২০ দিন পূর্ব হতে ভুক্তভোগী গৃহবধূ আমেনার বসতবাড়ির আশেপাশে ঘোড়াঘুরি করেন এবং আমেনার সাথে দেখা হলেই বিভিন্ন প্রকার কু প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন।
মহি উদ্দিন মহির কু প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ০৩/০৭/২০২১ ইং রাত্রি আনুমানিক ৯ ঘটিকার পর ভুক্তভোগী গৃহবধূ আমেনা বেগম রাত্রের খাওয়াদাওয়ার পর তার পুব দূয়ারী শয়ন ঘরে ঘুমাইয়া পড়েন। পরবর্তীতে রাত্রি আনুমানিক ১১ ঘটিকার সময় মহি উদ্দিন মহি ঘরের দরজা স্বু কৌশলে ঘুলে গৃহবধূ আমেনা বেগম কে জড়াইয়া ধরে, গৃহবধূ আমেনা চিৎকার করার চেষ্টা করিলে মহি তার হাত দিয়ে মুখ ছাপিয়ে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করিতে থাকে।
একপর্যায়ে আমেনা বেগম ধস্তাধস্তি করে হাত মুখ থেকে সরে গেলে চিৎকার করে ওঠেন। আমেনা বেগমের চিৎকার শুনে তার শশুর ছেলে দেবর ও আশেপাশের লোকজন এসে ঘরের ভিতরে মহিকে আটক করতে সক্ষম হয়। মহিকে আটক করার পর এলাকার লোকজন এসে তাকে পুলিশে সোপর্দ করার পরামর্শ দিলে ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আব্দুর রহমান রিপন তারদলবল নিয়ে এসে মহিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে প্রথমে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়।
পরবর্তীতে রিপন ভুক্তভোগী গৃহবধূর পরিবারকে বিভিন্ন প্রকার প্রস্তাব দেন বিষয়টি আপোষ মিমাংসা করার জন্য। অপরদিকে ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী আপোষ মিমাংসায় রাজি না হওয়ায় আব্দুর রহমান রিপন পুনঃরায় তার দলবল সহ তথা ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন এর আঃ হামিদ, রাশেদুজ্জামান,নুরুল আমীন, বাহার উদ্দিনসহ আরো অনেকে মিলে লাঠিসোঁটা সহ এসে ভুক্তভোগী গৃহবধূ সহ তার শশুর, দেবর কে উপযুক্তি কিল ঘুষি লাথি মেরে মহির উদ্দিন মহিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর পরামর্শে ভুক্তভোগী গৃহবধূ আমেনা বেগম হাতিবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন ধর্ষণচেষ্টার যে ঘটনাটি ঘটেছে বিষয়টি লজ্জাজনক এবং বেশি লজ্জাজনক হচ্ছে গুন্ডামী করে অপরাধীকে ছিনিয়ে নেওয়া। তিনি আরো বলেন, ভুক্তভোগী গৃহবধূকে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করেছি।
উক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাতিবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।