কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ৮ বছর বয়সী এক শিশু মাদ্রাসা পড়ুয়া আপন জেঠাতো ভাইয়ের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অভিযুক্ত ওই ধর্ষকের নাম আশরাফুল ইসলাম মাহিন (১৯)। সে উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের কেকৈয়া গ্রামের সৌদি প্রবাসী আলাউদ্দিনের ছেলে এবং স্থানীয় জোড্ডা মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্র। সোমবার বিকালে ওই শিশুর মা বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ জমা দেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই শিশু অভিযুক্ত ধর্ষকের আপন চাচাতো বোন।
এই সুবাদে মাহিন তার চাচার ঘরে ঘুমাতো। ওই শিশু পাশের কক্ষে তার অসুস্থ দাদির কাছে ঘুমাতো। এ সুযোগে মাহিন মুখ চেপে ধরে একাধিকবার ওই শিশুকে ধর্ষণ করে।গত ৩০ মার্চ রাতে ধর্ষণের ফলে শিশুটির গোপনাঙ্গে ব্যথা ও রক্ত বের হলে পরের দিন শিশুটির মা দৌঁলখাড় ইউপি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করান। কিন্তু শিশুটি ভয়ে ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে বলেনি। এরপর ঈদুল ফিতরের দিন রাতে ওই শিশুর মা তার বাপের বাড়ি যাবে বলে তাকে তার দাদুর সাথে ঘুমাতে বলে।
তখন মেয়েটি তার দাদুর সাথে ঘুমাতে অপারগতা প্রকাশ করে জানায়, দাদুর সাথে ঘুমালে মাহিন তার সাথে খারাপ কাজ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে একটি পক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায় এবং তার মাকে থানায় মামলা না দিতে চাপ প্রয়োগ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে একটি পক্ষ বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায় এবং তার মাকে থানায় মামলা না দিতে চাপ প্রয়োগ করে বলে অভিযোগ ওঠে। অবশেষে প্রতিকুলতা সত্ত্বেও সোমবার বিকালে ওই শিশুর মা থানায় অভিযোগ জমা দেন। এ ঘটনায় ধর্ষকের মা কাজল বেগমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। প্রতিবারই একটি মেয়ে ফোন রিসিভ করে তার মা বাড়িতে নেই বলে জানান।
নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছেন। শিশুটি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। তার মেডিকেল পরীক্ষাও হয়েছে। অভিযুক্ত কিশোরকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।