২০০৫ সালের ১৬ই এপ্রিলের কথা। প্রায় ১৫ বছর আগের ঘটনা অনেকের ভুলে যাওয়াই স্বাভাবিক। তবে আমার মনে হয় আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী হীরাপুর গ্রামের অধিবাসীগণ এখনও ভুলে যাননি। কারণ ঐ এলাকার গ্রামবাসীগন মুক্তিযুদ্ধের পর এধরনের সন্মুখ যুদ্ধ বা উভয়পক্ষের এ রকম গুলি বিনিময় আর কখনও দেখেনি। ঘটনাটি ঘটেছিল আখাউড়া উপজেলার বাংলাদেশ – ভারত সীমান্তের হীরাপুর গ্রামের সীমান্ত পিলার ২০২২/৩ এস এর নিকটে। ঘটনাটি ঐ সময়ে দুই দেশের জন্যে খুবই সংবেদনশীল ছিল। পুরা ঘটনাটির ভিন্ন ভিন্ন অংশ ছিল। এক একটি অংশের অভিজ্ঞতা ভিন্ন ভিন্ন ধরণের রোমাঞ্চকর ছিল এবং ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
আমি তখন ব্রাহ্মণবারিয়া জেলার সরাইল উপজেলাতে অবস্থানরত ৭ রাইফেল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ছিলাম। আর ঘটনাটি ঘটেছিল আমার দায়িত্ব পূর্ণ এলাকার মধ্যে। ঘটনাটি ঘটেছিল দুই দেশের ডিজি (বিডিআর ও বিএসএফ) ঢাকাতে অবস্থানকালীন সময়ে। তাঁরা উভয়ে সরাসরি নিজ নিজ অধিনায়কদের সাথে যোগাযোগ রাখছিলেন। প্রথমে বিএসএফ এর অনুপ্রবেশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এবং লুটতরাজ ও গ্রামবাসীদের কে নির্যাতন।
অতঃপর বিডিআর ও বিএসএফ এর মধ্যে সন্মুখ যুদ্ধ। বিডিআর ও বিএসএফ এর মধ্যে সামনা-সামনি প্রায় ৪/৫ ঘন্টা তীব্রভাবে গুলি বিনিময় হয়।আখাউড়া ও ত্রিপুরা রাজ্যে যুদ্ধ কালীন সময়ের মত সম্পূর্ণ ব্লাক আউট ছিল।
ব্লাক অউট এর মধ্যে গুলি বিনিময় শেষে দুই ডিজি’র আদেশে আখাউড়া আইসিপি (ICP) তে দুই অধিনায়কের পতাকা বৈঠকে করার আদেশ।
রাতের অন্ধকারে জিরো লাইনে উভয়ের যাওয়া ছিল হেভি রিস্ক। যে কোন সময় যে কোন অঘটন ঘটতে পারতো। যদিও পতাকা বৈঠকের সময় কোন গুলি বিনিময় না হলেও বৈঠক শেষে আইসিপি ত্যাগ করার সাথে সাথে সীমান্তে বিএসএফ ফায়ার শুরু করে। পতাকা বৈঠকের প্রথমে বিএসএফ এর অধিনয়ক অস্বীকার করে তাঁরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করেনি।
তাঁরা আরও জানাই যে, বিএসএফ এর একজন অফিসার ও একজন সৈনিক কে পাওয়া যাচ্ছে না। সে কারনে তাঁরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৪০০ গজ ভিতরে চারিদিকে সার্চ করতে চাই আমাদের উপস্থিতে। আমি উত্তরে জানালাম বিএসএফ যদি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ না করেই থাকে তাহলে কেন তোমরা ৪০০ গজ ভিতরে সার্চ করবে? এতে স্পষ্ট বুঝা যাই যে, বিএসএফ অনুপ্রবেশ করেছিল এবং যারা ফিরে গেছে তাঁরা জানিয়েছে যে ৪০০ গজ মত তাঁরা ভিতরে ছিল। তখন বিএসএফ এর অধিনয়ক আর কিছু না বলে সার্চ করার অনুমতি চাইলো। আমি তখন বললাম অনুপ্রবেশ এর কথা স্বীকার না করলে আমাদের অভ্যন্তরে সার্চ করা যাবে না। তখন সে সার্চ করার তাগিদে স্বীকার করলো যে বিএসএফ অনুপ্রবেশ করেছিলো। যা আবার পরবত্তিতে অস্বীকার করেছিল।
পতাকা বৈঠকে সিব্ধান্ত হয় রাত ১০ টায় সার্চ লাইটের মাধ্যমে পুরা এলাকা সার্চ করা হবে। উভয়ে এক সেকশন সৈনিক সাথে নিয়ে আসবে। সাথে কোন ভারী অস্ত্র থাকতে পারবে না। বাস্তবে কেউ এই আদেশ মানেনি। উভয়ে প্লাটুন প্লাস সৈনিক নিয়ে ঘটনা স্থলে আগমন করে। পতাকা বৈঠক শেষে ডিজি কে সব ঘটনা জানালে ডিজি আমাকে বললেন যে,” না তুমি ওখানে রাতে যাবে না। তুমি গেলে তোমাকে ওরা মেরে ফেলবে।
“ ডিজি’র আদেশে স্নেহের সুর ছিল, এছাড়া ডিজি আমার বিএমএ তে প্লাটুন কমান্ডার ছিলেন এবং একসাথে ইউএন মিশন করেছি। তখন আমি ডিজি কে জানালাম স্যার, এখন আর এটা সম্ভব না। উভয়ে আমরা একমত হয়েছি যে আমরা ঘটনাস্থলে একত্রিত হয়ে সার্চ করবো। আর এখন না গেলে সব দোষ তাঁরা আমার উপর চাপিয়ে দিবে এই বলে যে আমি সব কিছু জেনে শুনে এই ঘটনা ঘটিয়েছি। শেষে বলালাম- স্যার আমার কিছু হয়ে গেলে আমার পরিবার কে দেখেন। স্যার আস্তে করে বললেন সাবধানে যেও।
আমার সাথে তখন জেসিও ছাড়া অন্য কোন অফিসার ছিল না। কারণ অন্যান্য অফিসারগন অন্য এলাকাতে ছিলেন। ঐ সময় বিডিআর এর কোম্পানি কমান্ডার এর দায়িত্ব পালন করতেন সিনিয়র জেসিওগন। আমি কোম্পানি কমান্ডার কে ডিজি’র কথা জানালাম। কোম্পানি কমান্ডার এবং সিনিয়র এনসিওগন একসাথে বলে উঠলো স্যার – আমরা বেঁচে থাকতে একটি গুলিও আপনার গায়ে লাগতে দিবনা। আমরা ওখানে যাবো দেখি বিএসএফ আমাদের কি করে? বিএসএফ কিছু করলে আমরা ওদের ছেঁড়ে দিবনা।
এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছালে কোম্পানি কমান্ডার এলাকাকে তিন স্তরের (Outer cordon, Inner cordon and Close protection group) নিরাপত্তা বলয় করে আমাকে মাঝখানে ঘিরে রাখে। বিএসএফ সীমান্ত পিলারের (পিলার টি পাহাড়ের উপর ছিল) নীচে অবস্থান গ্রহন করে। আর আমরা আমাদের অভ্যন্তরে বাঁশ ঝাড়ের পিছনে অবস্থান গ্রহন করি। আমি আমার পরিচয় দিয়ে তাঁদের কে আসার জন্যে অনুরোধ করি। তাঁরা জানালো আমি যেন উপরে এসে তাদেরকে নিয়ে আসি। আমি প্রথমে যায়গাটা ভালভাবে দেখলাম। বাঁশ ঝাড়ের পর নিচু ধানের জমি সেটা পার হয়ে উপরে যেতে হবে।
আমরা এক লাইনে ধান খেত পার হওয়ার সময় উপর থেকে ফায়ার করলে সবাই মারা যাবে। তখন তাৎক্ষণিকভাবে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম ওদের কাছে যাবোনা। আমি জানিয়ে দিলাম তোমরা যেহেতু আমাদের অভ্যন্তরে সার্চ করবে তাহলে আমি কেন যাবো? তোমরা নীচে নেমে আসো। আমি কথা দিলাম তোমাদের কে লক্ষ্য করে কেউ ফায়ার করবে না। এভাবে প্রায় এক ঘণ্টা কেটে গেলো ওরাও আসেনা আবার আমরাও ওদের কাছে যাইনা। পরে বুঝেছিলাম বিপুল সংখ্যক বিএসএফ সমাবেশ করার জন্যে তাঁরা অপেক্ষা করছিল।
পরে তাঁরা নেমে আসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনেখক্ষন সার্চ করে বিএসএফ প্রথমে একজন আহত সৈনিককে খুজে পায়। ঘুট ঘুটে অন্ধকারে সার্চ লাইটও খুব একটা কাজ করছিলনা। অনেক খুঁজা-খুঁজির পর অফিসার কে পাওয়া যায় কিন্তু জীবিত নয়। অফিসারের মৃতদেহ পাওয়া গেলে উভয় দেশের সৈনিকদের মধ্যে টান টান উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
পাহাড়ের ঢালোয়ানে অর্থাৎ নীচে মৃতদেহটি পাওয়া গেলে বিএসএফ এর অধিনায়ক আমাকে নীচে যাওয়ার জন্যে অনুরোধ করেন। তখন আমি আমার বডিগার্ডসহ নীচে নামতে থাকি। যেখানে শুধু বিএসএফ এর সৈনিকেরা ছিল।
আমি নীচে নামার সময় (চারিদিকে অন্ধকার) হটাত আমার দুই ফ্লাঙ্কের এলএমজি ম্যান চিৎকার করে বিএসএফ কে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো আমার অধিনায়কের কিছু হলে তোমাদের কাউকে এখান থেকে জীবিত যেতে দিব না। কথা শুনে মনটা গর্বে ভরে গেলো। তাও তাঁকে বললাম আমার হুকুম ছাড়া ফায়ার ওপেন করবা না। ওরা বলল স্যার আপনি যান আমাদের আগুল ট্রিগারে আছে।
নীচে মৃতদেহের কাছে পৌঁছালে বিএসএফ এর অধিনায়ক বাদে অন্যান্য অফিসার এবং সৈনিকগণ আমাকে দেখার পর তাঁদের মধ্যে একটু উত্তেজনা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে-আমি সরাসরি অধিনায়ক কে বললাম Control your Men. ———- তা নাহলে কারও সামান্য ভুলের জন্যে বড় ধরণের কোন ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এছাড়া আমার উভয় দিকের এলএমজি ম্যান রেডি হয়ে আছে এখানে কোন শব্দ হলে তাঁরা আর আমার আদেশের জন্যে অপেক্ষা করবেনা। এ কথা শুনার পর বিএসএফ এর অধিনায়ক তাঁদের অফিসার ও সৈনিকদের উদ্দেশ্যে কড়াভাবে আদেশ দিল কেউ কোন কথা বলবেনা ও কোন ধরণের শব্দ করবেনা। শুধু দুই অধিনায়ক কথা বলবে।
বিএসএফ এর অধিনায়ক আমার কাছে অভিযোগ করলো আমরা নাকি তাঁদের অফিসার কে নির্যাতন করে হত্যা করাছি। আমি তখন বিএসএফ এর সৈনিকদের সার্চ লাইটের আলো ডেডবডির উপর ধরতে বলি। আমি ডেরবডি দেখিয়ে অধিনায়ক কে জানালাম আমি তার শরীরে গুলির দাগ ছাড়া অন্য কোন দাগ তো দেখছিনা তাহলে নির্যাতনের প্রশ্ন আসছে কেন? আমি আরও বললাম হয়তো অন্যদের মত সে পালানোর সময় গুলি বিদ্ধ হয় এবং উপর থেকে নীচে পরে যায়। তখন আর সে কোন উত্তর দিল না।
রাত দেড়টার দিকে আমার ডিজি’র নির্দেশে মৃতদেহ বিএসএফ কে হস্তান্তর করি। যদিও আমার ইচ্ছা ছিল না। এরপর প্রায় ২০ দিন দুই দেশের সীমান্তে টান টান উত্তেজনা ছিল। বিডিআর এবং বিএসএফ উভয়ে সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সৈনিক প্রতিরক্ষা তে অবস্থান গ্রহন করে। এবং চলতে থাকে ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক ও সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠক। এছাড়া উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সীমান্ত ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ বিগত ১৬ এপ্রিল ২০০৫ তারিখে আখাউড়া সীমান্তে প্রতিবেশী দেশ কর্তৃক ২০/২৫ জন সশস্ত্র বিএসএফ সদস্য এবং ৬০/৭৫ জন ভারতীয় নাগরিকসহ বাংলাদেশের ৩০০ গজ অভ্যন্তরে সীমান্তবর্তী হীরাপুর গ্রামে অনুপ্রবেশ করে। অনুপ্রবেশকারী বিএসএফ সদস্যগণ ভারতীয় নাগরিকদের সহায়তায় হিরাপুর গ্রামে ব্যাপক লুটতরাজসহ নিরীহ নারী ও শিশুদেরকে মারধর করে। গ্রামবাসী বাধা দিলে বিএসএফ গুলি বর্ষণ শুরু করে এবং গ্রাম দখল করে রাখে। বাংলাদেশী নাগরিকদের সশস্ত্র বিএসএফ এর কবল থেকে গ্রামবাসীদের উদ্ধার এবং বিএসএফ কে বাংলাদেশের ভূখন্ড থেকে বিতাড়িত করার জন্য উপস্তিত বিডিআর সদস্যদের সাথে নিয়ে ঐ সময় বিএসএফ এর সাথে সম্মুখ সংঘর্ষে অংশগ্রহণ করি। এটি ছিল আমার সামরিক জীবনের এক বিরল অভিজ্ঞতা, তা লিখে প্রকাশ করা আমার জন্যে কষ্টসাধ্য ব্যাপার।
আমার নেতৃত্বে বিডিআর ও বিএসএফ এর মধ্যে সামনা-সামনি প্রায় ৪/৫ ঘন্টা তীব্রভাবে গুলি বিনিময় হয়। গুলি বিনিময়ের এক পর্যায়ে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশকারী বিএসএফ এর কোম্পানী কমান্ডার, এ্যাসিটেন্ট কমান্ড্যান্ট শ্রী জীবন কুমার গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত এবং কনষ্টেবল কে কে সুরেন্দার গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতরভাবে আহত হন (পরে মারা যাই বলে শুনেছি)। তিব্র গুলি বিনিময়ের কারনে সশস্ত্র বিএসএফ দল অন্য কোন উপায় না দেখে কোম্পানী কমান্ডারের লাশ ও আহত কনষ্টেবল (অস্ত্রসহ) কে ফেলে রেখে বাংলাদেশের ভূমি ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। আমরা বিএসএফ এর কবল থেকে বাংলাদেশী নাগরিকদের জানমাল রক্ষা করতে সমর্থ হই।
পরবর্তীতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ২ জনকে বাংলাদেশ রাইফেলস পদক ৩ জনকে প্রেসিডেন্ট রাইফেলস পদক খেতাবে ভূষিত করেন যা বিডিআর এর সর্বোচ্চ সম্মান পদক। এবং ৮ জন কে ডিজি’র কমেনডেশন মেডেল প্রদান করা হয়।
বিগত ২৪ শে ফেব্রুয়ারী ২০০৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক রাইফেলস সপ্তাহ- ২০০৯ প্যারেড শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিডিআর এর সর্বোচ্চ পদক “বাংলাদেশ রাইফেলস্ পদক” (বিআরএম) পদকটি আমাকে নিজ হাতে পরিয়ে দেন। সীমান্ত সংঘর্ষে উপস্থিত বুদ্ধি, অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ আমাকে ঐ উপাধি প্রদান করা হয়।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাতৃভূমির সন্মান রক্ষাতে সন্মুখ যুদ্ধে বিজয়ী হলেও, ঐ সর্বোচ্চ পদক বা খেতাব চাকুরী জীবনে বা অবসর জীবনে আমার কোন কাজে লাগেনি।দুঃখের বিষয় হল সর্বোচ্চ খেতাব থাকা সত্তেও অবসরের পর থেকে অদ্যবধি সেনাবাহিনী বা বিজিবি’র কোন অনুষ্ঠানে যোগদানের ক্ষেত্রে আমি অযোগ্য।
তবে আমি কি পেলাম বা না পেলাম এটা বড় কথা নয়! আমার দেশের মাটিকে রক্ষা করাটাই ছিল আমার কর্তব্য এবং তা পেরেছি এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া।এছাড়া ঐ সময়ে আখাউরা উপজেলার সকল স্তরের সাধারণ জনগণ ও বিশেষ করে হীরাপুর গ্রামবাসীগন আমাকে যে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা দিয়েছেন সেটাই বা কম কিসের?????সরকার, সেনাবাহিনী বা বিজিবি সর্বোচ্চ খেতাব এর মূল্যায়ন না করলেও আমার কোন আফসোস নাই। কারণ একটাই কাজ করেছি দেশের জন্যে তাহলে আফসোস থাকবে কেন?
লেখকঃ কর্ণেল (অবঃ) সৈয়দ কামরুজ্জামান বিজিবিএম।