ইউরোপীয় দুই চতুর্থ প্রজন্মের যু’দ্ধবিমান ইউরোফাইটার টাইফুন ও ড্যাজল্ট রাফাল।
গতিঃ
ইএফটি = ২.২ ম্যাক।
রাফাল= ১.৮ ম্যাক।
উভয়েরই সুপারক্রুজ গতি ১.৫ ম্যাক।
ইঞ্জিনঃ
ইএফটি = রোলস রয়েস ইউরোজেট ইজে-২০০ যা ৬০ কিলো নিউটন শক্তি স্বাভাবিক অবস্থায় এবং আফটার বার্ণারে ৯০ কিলো নিউটন শক্তি উৎপন্ন করতে পারে । এর থ্রাস্ট টু ওয়েট রেশিও স্বাভাবিক অবস্থায় ৬.১১ঃ১ এবং আফটার বার্ণারে ৯.১৭ঃ১ ।
রাফাল = সাফরান স্নেকমা এম-৮৮ যা স্বাভাবিক অবস্থায় ৫০ কিলো নিউটন এবং আফটার বার্ণারে ৭৫ কিলো নিউটন শক্তি উৎপন্ন করতে পারে । এর থ্রাস্ট টু ওয়েট রেশিও স্বাভাবিক অবস্থায় ৫.৬৮ঃ১ এবং আফটার বার্ণারে ৮.৫২ঃ১ ।
বিশেষভাবে লক্ষনীয়ঃ– ইউরোফাইটারের ইউরোজেট ইজে-২০০ ইঞ্জিন শক্তিশালী জেট ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে অন্যতম । এর উচ্চ থ্রাস্ট এবং শক্তিউৎপাদন ক্ষমতা বিমানের ম্যানুয়েভার করার ক্ষমতা এবং অস্ত্রবহন ক্ষমতার উপর প্রভাব ফেলে। কিন্তু রাফাল তুলনামূলক কম ক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন নিয়েও কমগতিতে ম্যানুয়েভার করতে পারে এবং এর সুপারক্রুজ ক্ষমতা উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ইউরোফাইটারের সুপারক্রুজ গতির সমান । তবে রাফাল যেখানে ৪টি এয়ার টু এয়ার মিসাইল এবং একটি ড্রপট্যাংক নিয়ে ৩০% জ্বালানী খরচ করে ১১ মিনিট সুপারক্রুজ গতি ধরে রাখতে পারে সেখানে ইউরোফাইটার অধিকতর পেলোডে ১১ টি এয়ার টু এয়ার মিসাইল নিয়ে ৩০% জ্বালানী খরচ করে ৮ মিনিট সুপারক্রুজ গতি ধরে রাখতে পারে ৷
এভিউনিক্সঃ
ইএফটিঃ–
রাডার= Euro-Radar Captor-E যার রেঞ্জ ২২০ কিঃমি।
ইনফ্রারেড রেঞ্জ সার্চ অ্যান্ড ট্রাক= লিওনার্ডো সেলেক্স Pirate যার রেঞ্জ ১৪৫ কিঃমি ।
ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার= লিওনার্ডো সেলেক্স ডিফেন্সিভ এইড সাব সিস্টেম বা DASS ।
রাফালঃ–
রাডার= থেলস RBE2-AA যার রেঞ্জ ২০০ কিঃমি ।
ইনফ্রারেড সার্চ অ্যান্ড ট্রাক= OSF যার রেঞ্জ ১৩০ কিঃমি ।
ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার= সাফরান Spectra ।
বিশেষভাবে লক্ষনীয়ঃ- কাগজে কলমে ইউরোফাইটারের রাডার রেঞ্জ রাফাল থেকে বেশি হলেও রাফালের অন্যন্য ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার ব্যবস্থা স্পেক্ট্রা রাফালের রাডার রেঞ্জ কৃত্রিমভাবে বর্ধিত করে এবং শত্রুপক্ষের রাডার ব্যবস্থায় ভূল সিগনাল প্রেরনে সাহায্য করে । তবে ইউরোফাইটারের রাডার , ড্যাস ব্যবস্থাকে আরো উন্নীত করা এবং ইলেক্ট্রনিক ওয়ারফেয়ার ব্যবস্থাকে উন্নীত করার লক্ষ্যে অংশীদার দেশগুলো কাজ করছে এবং এজন্য LTE বা লংটার্ম এভ্যুলেশন প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হয়েছে ।
বিশেষ বৈশিষ্ট্যসমূহঃ
১) ৬টি মিসাইল নিয়ে রাফালের রাডার ক্রস সেকশন যেখানে ১.১৫ সেখানে একই সংখ্যক মিসাইল নিয়ে ইউরোফাইটের রাডার ক্রস সেকশন ১.২০ । তবে ইউরোফাইটারে অধিকতর কম্পোজিট ম্যাটেরিয়াল ব্যবহারের ফলে এর ফ্রন্টাল রাডার ক্রস সেকশন ০.০৫ যা রাফালের ০.০৯ থেকে কম ।
২) রাফালের জন্য DEDIRA প্রোগ্রাম এখনো চলমান যার উদ্দেশ্য স্পেক্ট্রা ব্যবহার করে রাফালের সামগ্রিক রাডার ক্রস সেকশন কৃত্রিমভাবে কমানো ।
৩) রাফালের ইঞ্জিন তুলনামূলক কম ইনফ্রারেড নিঃসরন করে ইউরোফাইটারের ইঞ্জিনের তুলনায় তবে এটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় বাস্তবিকক্ষেত্রে ।
৪) ইউরোফাইটারের অস্ত্র নিক্ষেপন ব্যবস্থা ডুয়াল চ্যানেল যার মাধ্যমে পাইলট লক-ফায়ার অ্যান্ড ফরগট পদ্ধতিতে এয়ার টু এয়ার মিসাইল নিক্ষেপ করার পরও মিসাইল হিট হবার ব্যাপারে কনফার্মেশন পায় কিন্তু রাফালের ব্যবস্থা সিংগেল চ্যানেল হওয়ায় পাইলটকে শুধু লক,ফায়ার অ্যান্ড ফরগট পদ্ধতির উপর নির্ভর করতে হয় ।