সাম্প্রতিক শিরোনাম

কোল্ড ওয়ার পরবর্তী যুগে ‘নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বেসড ইন্টার কন্টিন্যান্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল’

সিরাজুর রহমান: বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী এবং এয়ার ক্রাফট ক্যারিয়ার বেসড নেভাল ফোর্সেস বিশ্বের বুকে বিগত ৭০ বছর ধরে একক রাজত্ব করে গেলেও কোল্ড ওয়ার পরবর্তী যুগে নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বেসড ইন্টার কন্টিন্যান্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) ডিজাইন এণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ রাশিয়া এবং চীনের সাথে প্রতিযোগিতায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে।

রাশিয়ার সামরিক বাহিনী তাদের সভিয়েত যুগের ১৬ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ পাল্লার আরএস-৩৬ (আইসিবিএম) রিপ্লেস করে আরো ভয়ঙ্কর গতি এবং (এমআইআরভি) নিউক্লিয়ার এণ্ড থার্মোনিউক্লিয়ার ওয়ারহেড ক্ষমতা সম্পন্ন আরএস-২৮ সারমাট কন্টিন্যান্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল চুড়ান্তভাবে সার্ভিসে আনতে যাচ্ছে ২০২১ সালের দিকে। তাছাড় রাশিয়ার হাতে অজানা সংখ্যক ১০ হাজার কিলোমিটার পাল্লার তুপল-এম সিরিজের (আইসিবিএম) ব্যালেস্টিক মিসাইল রয়েছে।

এদিকে চীন তার ১৫ হাজার কিলোমিটার পাল্লার নতুন প্রজন্মের কৌশলগত (আইসিবিএম) হিসেবে ২০১৭ সালের দিকে অজানা সংখ্যক ডিএফ-৪১ এবং ২০০৬-৭ সালের দিকে ১১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার পাল্লার ডিএফ-৩১ ইন্টার কন্টিন্যান্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল সার্ভিসে নিয়ে এসেছে। আর মান যাই হোক না কেন এই মুহুর্তে বিশ্বের বুকে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড ক্যাপবল স্বল্প, মধ্যম এবং দীর্ঘ পাল্লার ব্যালেস্টিক মিসাইল রয়েছে চীনের স্টাটিজিক মিসাইল ফোর্সেস ইউনিটের হাতে এবং যার সংখ্যা কিনা আনুমানিক তিন হাজারের কাছাকাছি হতে পারে।

আরও পড়ুন….

সেই দিক থেকে ভারত তো দূরের কথা ইউরোপের কোন দেশই চীনের ধারে কাছেও আসে না। তাই ভবিষ্যতে যে কোন যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে চীন তার অস্ত্র ভাণ্ডারে থাকা এই বিপুল সংখ্য মিসাইল ব্যাবহার করা থেকে যে বিরত থাকবে না তা কিন্তু এক রকম নিশ্চিত বলা চলে। এক্ষেত্রে চীন বিরোধী দেশগুলোকে চীনের এই ভয়ঙ্কর সামরিক সক্ষমতাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার বিকল্প কোন পথ খোলা আছে বলে মনে হয় না।

অথচ মার্কিন সামরিক বাহিনী এতদিন তার বিশাল আকারের সুপার এয়ার ক্রাফট ক্যারিয়ার নির্মান এবং ১৩ হাজারের কাছাকাছি যুদ্ধবিমান, বোম্বার, হেলকপ্টার এবং ভয়ঙ্কর ড্রোন নিয়ে বিশ্বের সবাইকে ভয় দেখানোতে অতি মাত্রায় ব্যাস্ত ছিল। আর অন্যদিকে চীন এবং রাশিয়া অনেকটাই নিরবেই তাদের অত্যন্ত শক্তিশালী এবং কৌশলগত ইন্টার কন্টিন্যান্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল প্রজেক্ট সম্পন্ন করে বিপুল সংখ্যক এই জাতীয় অতি ভয়ানক (আইসিবিএম) মিসাইল স্ট্যাটিজিক মিসাইল ফোর্সেস ইউনিটের হাতে হস্তান্তর করতে শুরু করে দেয়। যা এখন কিনা মার্কিন প্রশাসন ও তার ন্যাটো জোট এবং সামরিক বিশেষজ্ঞদের প্রবল দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। আর এখন কিন্তু খুব দ্রুতই এই দেশ দুটিকে কৌশলগতভাবে প্রতিহত করার প্রযুক্তিগত সক্ষমতা ফুরিয়ে এসেছে।

এখানে প্রকাশ থাকে যে, কোল্ড ওয়ার চলাকালীন সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলো মুখে বড় বড় কথা বলে গেলেও তারা কার্যত সভিয়েত ইউনিয়নের নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড ক্যাপবল (আইসিবিএম) ব্যালেস্টিক মিসাইল এবং টিইউ-৯৫ হেভী বোম্বারকে জমের মতো ভয় করত। বিশেষ করে এখনো পর্যন্ত সভিয়েত আমলের রাশিয়ার পুরনো টিইউ-৯৫ বিয়ার বোম্বার নিউক্লিয়ার অস্ত্র সজ্জিত অবস্থায় যখন তখন ও কারো অনুমতি না নিয়েই ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলোর আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে। তবে এই বুড়ো বোম্বারকে ইন্টারসেপ্ট করার পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলো এর তীব্র প্রতিবাদ করে গেলেও আজ অব্ধি কিন্তু একটি গুলী চালানোর সাহস পর্যন্ত করেনি।

বর্তমানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর হাতে থাকা দূর পাল্লার (আইসিবিএম) কোল্ড ওয়ার যুগের অতি পুরনো মিনিটম্যান-৩ এবং সাবমেরিন বেসড ট্রাইডেন্ট-২ ডি-৫ মিসাইল মূল ভরসা। যা কিনা বর্তমান যুগে এসে বাতিল হবার পথে। আর এহেন জটিল পরিস্থিতিতে বর্তমানে রাশিয়া এবং চীনকে একসাথে মোকাবেলা করার উদ্দেশ্যে মার্কিন বিমান বাহিনী তাদের দেশের ডিফেন্স জায়ান্ট কোম্পানি নরথ্রপ গ্রুম্যান কর্পোরেশনকে ১৩.০০ বিলিয়ন ডলারের বড় ধরণের কন্টাক্ট দিয়েছে নতুন প্রজন্মের এবং আরো আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ ইন্টার কন্টিন্যান্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল ডিজাইন এবং গবেষণা করার জন্য।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মুলত তাদের কোল্ড ওয়ার যুগের পুরনো মিনিটম্যান-৩ এবং সাবমেরিন বেসড ট্রাইডান্ট-২ ডি-৫ সিরিজের (আইসিবিএম) অবসরে পাঠিয়ে তার রিপ্লেস হিসেবে অতি দ্রুত নতুন প্রজন্মের আরো শক্তিশালী নতুন প্রযুক্তি নির্ভর কোন ইন্টার কন্টিন্যান্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল সার্ভিসে আনতে ব্যাপকভাবে কাজ শুরু করে দিয়েছে। মার্কিন বিমান বাহিনীর হাতে এ মুহুর্তে নিউক্লিয়ার ওয়েপন্স বহণ করার জন্য বিপুল সংখ্যক বি-২ স্পিরিট, বি-৫২ এবং বি-১বি হেভী বোম্বার ব্যাবহার করে গেলেও রাশিয়া এবং চীনের নতুন প্রজন্মের (আইসিবিএম) এর কাউন্টার হিসেবে সেই মানের কোন আইসিবিএম আপাতত মার্কিন সামরিক বাহিনীর হাতে নেই। তাই সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে নরথ্রপ গ্রুম্যানকে রিসার্চ, ডেভলপমেন্ট এণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য এই ১৩.০০ বিলিয়ন ডলারের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। যদিও এই প্রজেক্টটি এখনো পর্যন্ত কাজগ-কলমের পর্যায়ে রয়ে গেছে।

তবে ফাণ্ড ছাড় হলে মার্কিন নরথ্রপ গ্রুম্যাম তার নতুন (আইসিবিএম) প্রজেক্ট নিয়ে খুব দ্রুত কাজ শুরু করবে। আর এই (আইসিবিএম) রিসার্চ এণ্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টটি আগামী আট থেকে সারে আট বছরে সমাপ্ত করে নরথ্রপ গ্রুম্যানকে তার ম্যানুফ্যাকচারিং ফ্যাসালিটি প্লান্টে ম্যাসিভ প্রডাকশন শুরু করার গাইড লাইন বেঁধে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। তবে তা কিন্তু আগামী ২০৩০ সালের আগে সার্ভিসে আসার কোন সম্ভবনা আছে বলে মনে হয় না।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...