সিরাজুর রহমান: সত্তরের দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এফ-১৫ ঈগল এবং এফ-১৬ ফাইটিং ফ্যালকনের মতো লিজেণ্ডারি জেট ফাইটারের পাশাপাশি এফ-১৪ টমক্যাট ডেডিকেটেড এডভান্স জেট ফাইটার সার্ভিসে আনে। মার্কিন এভিয়েশন জায়ান্ট গ্রুম্যান এ্যারোস্পেস কর্পোরেশনের তৈরি এফ-১৪ টমক্যাট ১৯৭৪ সালে প্রথম সার্ভিসে আসে এবং মোট ৭১২টি এই জাতীয় এডভান্স জেট ফাইটার তৈরি করে। তবে এফ-১৪ টমক্যাট মার্কিন নৌবাহিনীর একটি অত্যন্ত সফল জেট ফাইটার হলেও মার্কিন নৌবাহিনীর প্রায় চার শতাধিক এফ-১৪ টমক্যাট ২০০৬ সালেই একেবারে সচল থাকা অবস্থায় সম্পূর্ণ ফ্লীট অবসরে পাঠিয়ে দেয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাহিরে শুধুমাত্র ইরান এফ-১৪ টমক্যাট জেট ফাইটেরের ব্যবহারকারী দেশ এবং এখনো পর্যন্ত ইরানিয়ান এয়ার ফোর্স এখনো পর্যন্ত ২৬টি পর্যন্ত এই জাতীয় জেট ফাইটার রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারং প্রযুক্তির মাধ্যমে সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে। ১৯৭৯ সালের আগ পর্যন্ত মার্কিনপন্থী ইরানের রেজাশাহ পাহেলভী সরকারের আমলে মোট ৮০টি এফ-১৪ টমক্যাট জেট ফাইটার বিক্রয় করে মার্কিন গ্রুম্যান এ্যারোস্পেস কর্পোরেশন এবং মোট ৭৯টি এই জাতীয় জেট ফাইটার ইরানের হাতে তুলে দেয়।
তবে ১৯৭৯ সালে ইরানের রেজাশাহ পাহেলভী সরকারের পতন হলে ক্ষমতায় চলে আসে মার্কিন বিরোধী বিপ্লবী ইসলামীক খোমেনী সরকার। এ পর্যায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইরানের সকল ধরণের কূটনৈতিক সম্পর্ক শেষ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ইরানের সাথে অস্ত্র চুক্তি ও দীর্ঘ মেয়াদী সামরিক সম্পর্কের পরিসমাপ্তি ঘটে। তার সাথে মার্কিন প্রশাসন ইরানকে দেয়া এফ-১৪ টমক্যাট এর সকল ধরণের প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং খুচরা যন্ত্রাংশ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
যদিও রেজাশাহ পাহেলভী সরকারের আমলেই এফ-১৪ টমক্যাটের মূল অস্ত্র হিসেবে আনুমানিক ২৭২টি এআইএম-৫৪ ফনিক্স মিসাইল, ৭০০টি এআইএম-৯ সাইডউইণ্ডার এবং এআইএম-৭ স্প্যারো এয়ার টু এয়ার মিসাইল ইরানের হাতে চলে যায়। আর এই মিসাইলগুলো ইরাক-ইরান যুদ্ধ চলাকালে ইরাকের বিমান বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতিসাধণ করে। তবে বর্তমানে ইরানিয়ান এয়ার ফোর্স তাদের নিজস্ব রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং এবং নিজস্ব প্রযুক্তিগত সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে এখনো পর্যন্ত আনুমানিক ২৬টি এফ-১৪ টমক্যাট জেট ফাইটার সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে। যদিও ফ্লাইট গ্লোবালের দেয়া তথ্যে জানা যায় যে, ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইরানিয়ান এয়ার ফোর্সে মোট ২৮টি এফ-১৪ টমক্যাট জেট ফাইটার সচল ছিল।
তবে যাই হোক না কেন, এফ-১৪ টমক্যাট জেট ফাইটারের সবচেয়ে সফল ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত চলা ভয়াবহ ইরাক-ইরান যুদ্ধে। এই দীর্ঘ মেয়াদী যুদ্ধে ইরানের বিমান বাহিনীর এফ-১৪ টমক্যাট ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের বিমান বাহিনীর ১৬০টি জেট ফাইটার, বোম্বার, হেলিকপ্টার ধ্বংস করে আকাশ যুদ্ধের এক বিরল রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল। আর ইরানের বিমান বাহিনীর অত্যন্ত দক্ষ পাইলট জলিল জানদি এফ-১৪ টমক্যাট ব্যবহার করে ইরাকের বিমান বাহিনীর মোট ১১টি যুদ্ধবিমান একাই ধ্বংস করেন। যদিও একই সময় ইরানের বিমান বাহিনীর ১৬টি এফ-১৪ টমক্যাট আকাশে ধ্বংস হইয়ে যায়। তাছাড়া ইরাক ইরান যুদ্ধ ছাড়াও ১৯৯০-৯১ সালে পার্সিয়ান ও সার্বিয়া যুদ্ধসহ একাধিক যুদ্ধে এফ-১৪ টমক্যাটের মোট এয়ার টু এয়ার কনফার্ম কিলিং রেকর্ড ১৭৮টি এর কাছাকাছি হতে পারে।
এখানে প্রকাশ থাকে যে, ইরান যাতে ভবিষ্যতে এফ-১৪ টমক্যাট জেট ফাইটারের খুচরা যন্ত্রাংশ প্রাপ্তির কোন ধরণের সুবিধা না পায়, সেজন্য মার্কিন নৌবাহিনী তার বহরে থাকা সবগুলো এফ-১৪ টমক্যাট অবসরে পাঠিয়ে দেয়। আর নিয়ম মাফিক মার্কিন বিমান বা নৌবাহিনীর অবসরে যাওয়া সকল ধরণের জেট ফাইটার, বোম্বার, হেলিকপ্টার এবং সামরিক পরিবহণ বিমানগুলোকে এ্যারিজোনার মরুভূমির বুকে ‘বোন ইয়ার্ডে’ সংরক্ষণ করা হলেও শুধুমাত্র এফ-১৪ টমক্যাট অবসরে পাঠিয়ে সবগুলো যুদ্ধিমানকে গোপনে ধ্বংস করে ফেলা হয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment