মিলিটারি জগতে মূর্তিমান আতংকের নাম হল মাইন। মাটির নিচে লুকানো থাকে বলে খালি চোখে মাইনের উপস্হিতি বুঝার অবকাশ নেই। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যেহেতু ইউএন এর বিভিন্ন মাইন ঝুঁকিপ্রবণ এলাকায় কাজ করছে, তাছাড়া সৌদিআরবেও ডিমাইনিং মিশনে যাচ্ছে সেহেতু উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তায় বিভিন্ন ধরণের মাইন ক্লিয়ারিং ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহ করছে নিয়মিত। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল BOZENA-5 UGV।
আমরা জানিয়েছিলাম সেনাবাহিনী বেশ কয়েকটি মাইন ক্লিয়ারিং ভেহিক্যাল এর টেন্ডার দিয়েছে এবং পরবর্তীতে এর চালান গ্রহণ করেছে। সেনাবাহিনী দুবারের টেন্ডারে মোট ৪টি মাইন ক্লিয়ারিং ভেহিক্যালস এর টেন্ডার দিয়েছিল। সে হিসেবে মোট ৪টি মাইন ক্লিয়ারিং ভেহিক্যাল পাওয়ার কথা।তবে পরবর্তীতে আরো ৪টি এই ভেহিক্যাল সংগ্রহ করেছিল বলে শোনা যায়।
BOZENA-5 হল স্লোভাকিয়ার তৈরী 5th gen রিমুট কন্ট্রোল মাইন ক্লিয়ারিং ভেহিকাল, যেটি BOZENA-5 UGV নামে পরিচিত। এই ভেহিক্যালের বিশেষত্ব হল এটি ব্লাস্ট রেসিস্টেন্স বা বিষ্ফোরক প্রতিরোধী। এটি ৯-১০কেজি TNT পর্যন্ত বিষ্ফোরণ খুব সহজেই প্রতিরোধ করতে পারে। এই মাত্রার ব্লাস্টের কারণে ভেহিক্যালের কোন ধরণের ক্ষতি হয়না। এই ভেহিক্যাল PMA-2 এন্টি পার্সোনাল মাইন(weight–>95g), PMR-2A এন্টি পার্সোনাল ফ্র্যাগমেন্টশন মাইন (weight –>100g), এবং PTMI- BAIII এন্টি ট্যাংক মাইন( weight -5,600g) এর বিষ্ফোরণ খুব সহজেই প্রতিরোধ করে টিকে থাকতে পারে।
BOZENA-5 ডিমাইনিং এর জন্য এই ভেহিক্যালের সামনে বিশেষ ধরণের টুল ক্যারি করে যা Flail এবং Tiller নামে পরিচিত। এই জিনিস গুলো স্টিলের তৈরি। Flail গুলো দেখতে অনেকটা চেইনের মত এবং Tiller গুলো দেখতে ট্র্যাক্টরের জমি চাষের লোহার বার গুলোর মত। তবে বাস্তবিকভাবে ভিন্ন। এই দুই সিস্টেমই অনেকটা জমি চাষের মত মাটি খুঁড়ে সামনে এগিয়ে চলে। এতে মাটির নিচে লুকানো মাইন গুলো ওঠে আসে এবং বিষ্ফোরিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায়। BOZENA-5 এর Flail এবং Tiller মাটির ৫মিটার নিচে পর্যন্ত পৌছুতে পারে। সাধারণত বেশীর ভাগ মাইনই মাটির ৩-৪মিটারের মধ্যে প্লান্ট করা হয়। BOZENA-5 ঘন্টায় ম্যাক্সিমাম ৯ কিঃমি গতিতে ডিমাইনিং করতে পারে রাফ টিরেইনের কথা মাথায় রেখে এর Flail এবং Tiller ১৫° এংগেলে ওঠানামা করানো যায়। এছাড়া এই ভেহিক্যালটি সম্পুর্ন ইক্যুইপ্ড থাকা অবস্হায় প্রায় ৩০° এংগেলের খাড়া টিরেইনে চড়তে সক্ষম। মাইন ধ্বংস করার পর এর অবশিষ্টাংশ সংগ্রহ করার জন্য ইলেক্ট্রিক ম্যাগনেটিক ডিটেক্টর থাকে যেটি মাইনের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ একইসাথে মাটি থেকে সংগ্রহ করে নেয়।
এই ভেহিক্যাল রিমোট কন্ট্রোল হওয়ায় এর ক্যাজুয়েলিটি নেই বললেই চলে। একজন অপারেটরই এই ভেহিক্যাল সর্বোচ্চ ৫ কিঃমি পর্যন্ত কন্ট্রোল করতে পারেন। অপারেশন পরিচালনার সুবিধার্তে এতে রয়েছে থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা, পিকচার ট্রান্সমিশন সিস্টেম এবং GPS সিস্টেম রয়েছে। অপারেটিং ষ্টেশন একজন মোবাইল অপারেটর বা কোন এপিসির মধ্য থেকে ব্যবহার করা যায়। অথবা আলাদা এয়ার কন্ডিশন অপনরেশন কেবিন ব্যবহার করা যায়।
এই ভেহিক্যালের আরেকটি বিশেষ সুবিধা হল এর আকার এবং ওজন। এই ভেহিক্যালের টোটাল ওয়েট মাত্র ১২ টন। যার ফলে এটি সহজেই এয়ার ট্রান্সপোর্টেবল।ফলে প্রয়োজনে দ্রুত একম্হান হতে অন্য স্হানে মুভমেন্ট করানো যায়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment