বর্তমান সময়ে বিশ্বের বুকে এক্টিভ থাকা অত্যন্ত শক্তশালী মেইন ব্যাটল ট্যাংক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের এম-১ আব্রমস, যুক্তরাজ্যের চ্যালেঞ্জার-২, জার্মানের লিওপার্ড-২, রাশিয়ার টি-৯০/৭২, চীনের টাইপ-৯৯, ইসরাইলের মার্কাভা, ফ্রান্সের ল্যাকলেরেক (Leclerc), জাপানের টাইপ-১০, দক্ষিণ কোরিয়ার কে-২ ব্লাক প্যানথার (এমবিটি)কে বিবেচনা করা হয়।
তবে বৃটিশদের তৈরি চ্যালেঞ্জার-২ মেইন ব্যাটল ট্যাংক হচ্ছে অত্যন্ত শক্তিশালী তৃতীয় প্রজন্মের একটি অত্যাধুনিক মেইন ব্যাটল ট্যাংক। আর এই চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাংক ইরাক, আফগানিস্থান, বসনিয়া, কসোভো যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে ব্যাবহার করা হলেও আজ অব্ধি একটি ট্যাংক পর্যন্ত ধ্বংস হয়নি এবং বিশ্বব্যাপী চলা যুদ্ধক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাংকের একটি বিরল রেকর্ড বলা চলে।
অথচ ইতোপূর্বেই ইরাক ও আফগানিস্তানের যুদ্ধক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবং রাশিয়ার অনেক ট্যাংক ধ্বংস হয়। বিশেষ করে ২০০৩ সালে ইরাকে সামরিক আগ্রাসন চলাকালে ইরাকী সাদ্দাম বাহিনীর ছোড়া আরপিজি-৭ এন্টি ট্যাংক মিসাইলের আঘাতে ২টি চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাংক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও সেই ট্যাংকগুলোকে মেরামত করে ৬ ঘন্টার মধ্যে আবারো সার্ভিসে নিয়ে আসা হয়।
তবে আশ্চর্যের বিষয়, ইরাকের যুদ্ধক্ষেত্রে বৃটিশ চ্যালেঞ্জার-২ মেইন ব্যাটল ট্যাংকের প্রথমটিতে ১৪টি এবং দ্বিতীয়টিতে ৭০টি পর্যন্ত আরপিজি-৭ এন্টি ট্যাংক মিসাইল আঘাত করলেও তাতে থাকা ক্রুদের কোন ক্ষতি হয়নি এবং সেগুলো কিন্তু একেবারেই ধ্বংস হয়ে যায় নি। তাছাড়া এই ট্যাংক দুটিকে সার্ভিসিং লাইনে এনে স্বল্প সময়ে মেরামত করে পুনরায় যুদ্ধক্ষেত্রে ফেরত পাঠানো হয়।