সাম্প্রতিক শিরোনাম

রাশিয়ার নতুন প্রজন্মের ভয়ংকর আরএস-২৮ সারমাট ক্ষেপণাস্ত্র

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার ন্যাটো জোটকে কৌশলগতভাবে মোকাবেলা করার জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ এবং ধ্বংস ক্ষমতার অধিকারী নতুন প্রজন্মের এক আরএস-২৮ সারমাট (সার্টান-২) ইন্টার কন্টিন্যানটাল ব্যালেস্টিক মিসাইল (আইসিবিএম) বা পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ২০২২ সালের মধ্যে সার্ভিসে আনতে ব্যাপকভাবে কাজ করে যাচ্ছে রাশিয়া। আসলে রাশিয়ার পুতিন বাহিনীর স্ট্র্যাটিজিক মিসাইল ফোর্সেস ইউনিটের হাতে থাকা ১৬ হাজার কিলোমিটার পাল্লার সভিয়েত আমলের আরএস-৩৬ আইসিবিএম এর রিপ্লেস হিসেবে তাঁদের উচ্চ প্রযুক্তির নতুন প্রজন্মের ১০ হাজার কিলোমিটার পাল্লার সারমাট (আইসিবিএম) সার্ভিসে আনতে প্রস্তুতি নিতে শুরু কিরে দিয়েছে রাশিয়া।

পুতিনের ভাষ্যমতে, তাঁদের হাতে থকা কৌশলগত সারমাট আইসিবিএম ক্ষেপণাস্ত্র কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে টেক্সাস, ফ্রান্স বা জার্মানের মতো একটি দেশকে পুরোপু্রিে ধ্বংস বা মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে সক্ষম হবে। যদিও পুতিন সাহের প্রায়ই এহেন পরমাণু হামলার মতো অযৌক্তিক বা বারাবাড়ি রকমের বক্তব্য দিয়ে বিশ্বকে ভয় দেখানো কিম্বা সুকৌশলে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে থাকেন। অবশ্য ন্যাটো সামরিক বাহিনী রাশিয়ার এই নতুন অতি মাত্রায় ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্রকে ‘সাটান’ বা শয়তান বলে থাকে। ১০০ টন ওজন বিশিষ্ট রাশিয়ান আরএস-২৮ বা (শয়তান) খ্যাত ইন্টার কন্টিন্যানট্যাল ব্যালেস্টিক মিসাইলটিকে কয়েক ডজন উচ্চ ধ্বংস ক্ষমতা সম্পন্ন নিউক্লিয়ার বা থার্মোনিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বহন করার উপযোগী করে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।

আর এটিকে মনে করা হচ্ছে সারা বিশ্বের দেশগুলোর হাতে থাকা এ পর্যন্ত যত পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হয়েছে আরএস-সারমাট ক্ষেপণাস্ত্র হচ্ছে তাদের মধ্যে আকারে সবচেয়ে বড়। রাশিয়ার সামরিক বিশেষজ্ঞ এবং প্রযুক্তিবিদদের মতে, এ ক্ষেপণাস্ত্র সম্পূর্ণ স্টিলথ প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে এবং রাডারের সাহায্য ছাড়াই তার লক্ষ্যবস্তু ঠিক করে তাতে টার্মিনাল ফেজে ২০-২৪ ম্যাক গতিতে নিখুঁতভাবে আঘাত হানতে পারবে। অবশ্য বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর হাতে থাকা যেমন চীনের ডংফেং-৪১, মার্কিন মিনিট্ম্যান-৩, ট্রাইডেন্ট-২/৫, ভারতের অগ্নী-৫ অধিকাংশ আইসিবিএম এর ওয়ারহেডগুলো চুড়ান্ত স্তর বা টার্মিনাল ফেজে অতি উচ্চ মাত্রায় ১৫ থেকে ২০ ম্যাক বা তারও বেশি গতি লাভ করে সুনিদিষ্ট লক্ষবস্তুতে হিট করতে এগিয়ে আসে এবং এ অবস্থায় ওয়ারহেডগুলোকে প্রতিহত বা ইন্টারসেপ্ট করাটা খুব জটিল এবং কঠিন বিষয় হয়ে দেখা দিতে পারে।

তাছাড়া বিশ্বের সেরা মার্কিন থার্ড বা রাশিয়ার এস-৪০০/৫০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে অতি উচ্চতায় আইসিবিএম ওয়ারহেডগুলোকে ইন্টারসেপ্ট বা প্রতিহত করার উপযোগী করে ডিজাইন করার কথা বারবার বলা হলেও বাস্তবে এগুলো কতটুকু সক্ষম হবে তা কিন্তু শতভাগ নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয় এবং বাস্তব যুদ্ধেও তা নিরবিচ্ছিন্নভাবে প্রমাণিত হয়েছে এমনটিও বলা যাবে না। যাই হোক, রাশিয়া অবশ্য অত্যন্ত গোপনে ২০০৯ সাল থেকেই ক্ষেপণাস্ত্রটির ডিজাইন এবং উন্নয়ন শুরু করলেও তা আগামী ২০২২ সালের দিকে রাশিয়ান স্ট্র্যাটিজিক মিসাইল ফোর্সেস ইউনিটের হাতে তুলে দিতে পারে।

লেখকঃ সিরাজুর রহমান, শিক্ষক, কলামিস্ট।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...