রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা তাসের তথ্যমতে, ভারতের সেনাবাহিনী রাশিয়া থেকে অতিরিক্ত আরো ৪০০টি অত্যাধুনিক টি-৯০এস সিরিজের মেইন ব্যাটল ট্যাংক সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাছাড়া ভারত ২০১৮ সালের দিকে ৪৫০টি টি-৯০ ট্যাংক রাশিয়ান লাইসেন্সে নিজ দেশের মাটিতে তৈরির চুক্তি করেছিল। সে হিসেবে ভারত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সর্বোচ্চ ২ হাজারের অধিক সংখ্যক টি-৯০ মেইন ব্যাটল ট্যাংক ব্যাবহারকারী দেশ হতে যাচ্ছে। যেখানে রাশিয়া নিজে কিনা সর্বোচ্চ ৫৫০টি বিভিন্ন সিরিজের টি-৯০ মেইন ব্যাটল ট্যাংক ব্যবহার করে।
ভারতের সেনা বাহিনী ২০০১ সালে সর্বো প্রথম টি-৯০ ট্যাংক তার বহরে অন্তভুক্ত করে এবং রাশিয়ার লাইসেন্সে নিজেরাই ম্যানুফ্যাকচারিং করে যাচ্ছে এবং এর উৎপাদন প্রক্রিয়া আগামী ২০২৮ সাল পর্যন্ত চলবে। আসলে টি-৯০ এস ট্যাংকটিকে তার উচ্চ কার্য ক্ষমতা, স্বল্প অপারেটিং কস্ট, উচ্চ ক্ষমতার ফায়ার পাওয়ার এবং এর খুচরা যন্ত্রাংশ ভারতের অপর টি-৭২ (এমবিটি) এর সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ থাকায় এটি ভারতের সেনা বাহিনীর জন্য একটি ভালো অপশন হতে পারে।
এ মুহুর্তে ভারতের সেনা বাহিনীতে ২৪১০টি পুরনো টি-৭২ সিরিজের মেইন ব্যাটল ট্যাংক সক্রিয় রয়েছে। তাছাড়া টি-৯০ এস সিরিজটি টি-৯০ এ সিরিজ অপেক্ষা অধিক আধুনিক এবং আপগ্রডেড হওয়ায় এটি যে কোন যুদ্ধ পাকিস্তানি ল্যাণ্ড ফোর্স মোকাবেলায় অধিক সুবিধা দিবে এবং টি-৯০ এস সিরিজের মেইন ব্যাটল ট্যাংকটিকে চীনের অত্যাধুনিক টাইপ-৯৯ সিরিজের সমগোত্রীয় পর্যায়ের মেইন ব্যাটল ট্যাংক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে ভারতের সরকার সেনা বাহিনীর আধুনিকায়নের অংশ হিএবে চলতি ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে সীমিত পরিসরে রাশিয়ার সাথে তাদের নতুন প্রজন্মের আরমাটা টি-১৪ মেইন ব্যাটল ক্রয়ের প্রথম চুক্তির বিষয়ে প্রবল আশাবাদী।
এখন এক নজরে টি-৯০ এস সিরিজের মেইন ব্যাটল ট্যাংকের ফায়ার পাওয়ার সক্ষমতা দেখে নেয়া যাক। আসলে রাশিয়ান টি-৯০ এস মেইন ব্যাটল ট্যাংকে একটি ১২৫ এমএম ২এ৪৬এম স্মুথবোর গান অন্তভুক্ত রয়েছে বন্দুক অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি এপিডিএস (আর্মার পিয়েরিং ডিসার্ডিং সাবোট), হিট (উচ্চ বিস্ফোরক অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক) এবং এইচ-এফআরএজি (উচ্চ বিস্ফোরক খণ্ড), এবং টাইম ফিউজের সাথে এডজাস্ট করে বিভিন্ন ধরণের গোলাবারুদ ফায়ার করতে সক্ষম। টি-90 এস ট্যাংক থেকে ৯এম১১৯ রিফ্লেকস (ন্যাটো ডিজিনেশন এটি-১১ স্নিপার) অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল ফায়ার করতে সক্ষম এবং যার রেঞ্জ ১০০ মিটার থেকে ৪ কিলোমিটার পর্যন্ত। তাছাড়া মিসাইলটি তার সর্বোচ্চ সীমাতে পৌছাতে ১১.৭ সেকেণ্ড সময় নেয়।
তাছাড়া নিচু উচ্চতা দিয়ে উড়ে যাওয়া শত্রু পক্ষের হেলিকপ্টারকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যে ২০.৪ কেজি ওজনের ৯এম১১৯ কিম্বা ৯এম১১১৯এম মিসাইল ফায়ারে ধ্বংস করতে সক্ষম। এটিতে একটি কক্সিয়াল ৭.৬২ এমএম হেভী মেশিনগান এবং একটি ১২.৭ এমএম এয়ার ডিফেন্স মেশিনগানও লাগানো আছে। তাছারা এটিতে একটি ৫.৪৫ এমএম একেএস-৭৪ অ্যাসল্ট রাইফেলটি স্টোরেজ র্যাকে সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে।
সাম্প্রতিক/সিরাজুল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment