এক বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই আমেরিকা ও তার পশ্চিমা বিশ্বের জোটের সাথে সামরিক উত্তেজনার মুখে রাশিয়া তার নিজস্ব প্রযুক্তির অত্যাধুনিক এবং হাইপারসনিক গতির কেএইচ-৪৭এম২ কিঞ্জাল বা (Kh-47M2 Kinzhal) ব্যালেস্টিক মিসাইল সার্ভিসে এনেছে। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেন বিরোধকে কেন্দ্র করে পূর্ব ইউরোপের সুবিশাল সীমান্ত সংলগ্ন রাশিয়ার বেশকিছু বিমান ঘাঁটিতে এই স্ট্যাটিজিক মিসাইল মোতায়েন করেছে। মুলত ম্যাক ১০ গতি সম্পন্ন নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড ক্যাপবল কেএইচ-৪৭এম২ কিঞ্জাল এয়ার লাউঞ্চড বেসড মিসাইলটিকে সামরিকি বিশ্লেষকেরা রাশিয়ার ‘ডুমসডে ওয়েপন’ বা ‘ধ্বংসের অস্ত্র’ বলে আখ্যায়িত করে থাকে।
কেএইচ-৪৭এম২ কিঞ্জাল হচ্ছে একটি এয়ার লাউঞ্চড বেসড হাইপারসনিক গতির এয়ার টু সার্ফেস নিউক্লিয়ার বা কভেনশনাল ওয়ারহেড স্টাইক ব্যালেস্টিক মিসাইল। এটি শব্দের গতির থেকে ১০ গুণ বেশি গতিতে ভূমিতে থাকা নিদিষ্ট লক্ষবস্তুকে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে ধ্বংস করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। রাশিয়ার ভাষ্যমতে, তাদের এই অত্যন্ত ধ্বংসাত্বক মিসাইলটিকে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দিয়ে ইন্টারসেপ্ট করা এক কথায় অসম্ভব বলা চলে।
সলিড প্রপোলেন্ট রকেট ইঞ্জিন চালিত ১ টন বা ১,০০০ কেজি ওজনের কিঞ্জাল মিসাইলে ওয়ারহেড হিসেবে ৫০০ কেজি ওজনের একটি ১০০-৫০০ কিলোটন ধ্বংস ক্ষমতা সম্পন্ন নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড বা হাই এক্সপ্লুসিভ ফ্রেগমেন্টেশন কনভেনশনাল ওয়ারহেড ব্যবহার করা যায়। এই মিসাইলের গতি ১০-১২ ম্যাক বা প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪,৭০১ কিলোমিটার।
কেএইচ-৪৭এম২ কিঞ্জাল ব্যালেস্টিক মিসাইলের রেঞ্জ ২ হাজার কিলোমিটার এবং এটিকে যুদ্ধবিমান থেকে ভূমিতে কিংবা সাগরের ভাসমান যে কোন লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করার জন্য ব্যবহার করে রাশিয়ার বিমান বাহিনী। তবে টিউ-২২এম৩এম সিরিজের বোম্বার বিমানে ব্যবহৃত কিঞ্জাল মিসাইলের রেঞ্জ প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার।
এর দৈর্ঘ্য ৮ মিটার ও প্রস্থ ১ মিটার। এতে একটি ৪৮০ কেজির নিউক্লিয়ার ওয়ারহেড ইনস্টল করা সম্ভব। রাশিয়া ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে এর উৎপাদন শুরু করলেও এটিকে প্রথম ২০১৮ সালের ১লা মার্চ মিগ-৩১বিএম (ফক্সহাউণ্ড) ইন্টারসেপ্টর যুদ্ধবিমান থেকে সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়।
কেএইচ-৪৭এম২ কিঞ্জাল মিসাইলের প্রধান ব্যবহারকারী রাশিয়ান এ্যারোস্পেস ফোর্সেস। এটিকে মিগ-৩১কে/বিএম, টিউ-২২এম৩এম বোম্বার এবং এসইউ-৫৭ স্টিলথ জেট ফাইটার হতে সর্বোচ্চ ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় থেকে লাউঞ্চ করার বিশেষ উপযোগী করে সরাসরি রাশিয়ার ডিফেন্স মিনিস্ট্রির তত্ত্বাবধানে ডিজাইন ও ম্যানুফ্যাকচারিং করা হয়। রাশিয়া তার এই স্ট্যাটিজিক হাইপারসনিক কিঞ্জাল মিসাইলটিকে নিজে ব্যবহার করা ছাড়া রপ্তানি বা বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে এর কোন এক্সপোর্ট ভার্সন তৈরি করে না।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment