বাহ্যিকভাবে গঠনগত দিক থেকে এফ-১৬ ব্লক-৭০ পূর্ববর্তী ব্লক-৫২ এবং ব্লক-৬০ এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ । তবে অ্যাভিওনিক্সে এসেছে নতুনত্ব ।
নতুন এই ব্লক-৭০ ভার্সনে ব্যবহার ব্যবহার করা হবে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন AN/APG-83 রাডার যার উদ্ভব ঘটেছে এফ-২২ এর AN/APG-77 এবং এফ-৩৫ এর AN/APG-81 রাডার হতে । অন্যদিকে এতে আরো ব্যবহার করা হবে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন APX-126 Advanced Data Transmission System যেটি কিনা এফ-২২ এ ব্যবহার করা হয়েছে । মূলত এই এর রাডার এবং ডেটা ট্রান্সমিশন মডিউল হচ্ছে মূল আলোচ্য বিষয়বস্তু যা নতুন ব্লক-৭০ কে পঞ্চম প্রজন্মের বিমানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে তুলবে হার্ডওয়্যারগত এবং সফটওয়্যারগত উভয়দিক থেকেই ।
অপরদিকে নতুন এই ব্লক-৭০ ভার্সনে আরো ব্যবহার করা হবে এফ-২২ এর ELN-260 Embaded GPS/INS এবং সম্পূর্ণ নতুন ডিজিটাল ফ্লাইট কন্ট্রোল কম্পিউটার। এছাড়াও এতে ব্যবহার করা হবে এফ-৩৫ এর ডিজিটাল ডিসপ্লে জেনারেটর , কমন ডেটা ইলেক্ট্রনিক ইউনিট এবং মডিফাইড ডেটালিংক , গ্রাউন্ড কলিশন এভোয়েড সিস্টেম এবং নাইট ভিশন সিস্টেম এবং লার্জ এরিয়া ডিসপ্লে মনিটর ।
উপরে উল্লেখিত অ্যাভিওনিক্সগুলো থেকে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে মোটামুটিভাবে ভবিষ্যতে পঞ্চম জেনারেশন বিমানের যুগে নতুন এফ-১৬ আরো কিছুকাল সার্ভিস দিয়ে যাবে । উল্লেখ্য যে , বাহরাইন হচ্ছে এফ-১৬ ব্লক-৭০ এর প্রথম ক্রেতা যাদের এফ-১৬ ব্লক-৭০ এ বছর প্রোডাকশন লাইনে ঢুকেছে । এছাড়াও এটি বুলগেরিয়াকেও অফার করা হয়েছে । আর এটি টেকনোলজি ট্রান্সফারসহ ভারতকে অফার করা হলেও ভারতের অফার গ্রহন নিয়ে প্রচুর ধোয়াশা আছে ।
বাংলাদেশের নিরিখে নতুন এফ-১৬ ব্লক-৭০ কতটুকু সম্ভাব্য? আমাদের বিমানবাহিনীতে থাকা এফ-৭ সিরিজের বিমানগুলো ভবিষ্যতে MMRCA প্রোগ্রামের আওতায় রিপ্লেস করা হবে সিংগেল ইঞ্জিনের বিমান দিয়ে । যেহেতু আমেরিকার সাথে সামরিকগত দিক থেকে সম্পর্ক নতুন দিকে মোড় নিচ্ছে তাই এফ-১৬ ব্লক-৭০ হতে পারে আমাদের জন্য আদর্শ যুদ্ধবিমান যদি আমরা খরচ এবং অন্যান্য দিক থেকে চিন্তা করে থাকি ।
তাছাড়াও ভবিষ্যতের কোনোসময়ে যদি বিমান বাহিনী পঞ্চম প্রজন্মের বিমানের দিকে আকৃষ্ট হয় তাহলে সেই দিক থেকে চিন্তা করলেও এফ-১৬ ব্লক-৭০ আমাদের জন্য উপযুক্ত অপশন যেহেতু এটি আমেরিকান অন্যান্য পঞ্চম প্রজন্মের বিমানের সাথে অনেকটাই সামঞ্জস্যপূর্ণ । খোদ লকহিড মার্টিনের ভাষায় নতুন এফ-১৬ ব্লক-৭০ হচ্ছে-A pathway to fifth generation.