জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছে। পরিস্থিতির আলোকে কতদিন সেনাবাহিনী কাজ করবে তা সরকার বিবেচনা করবে। যতদিন প্রয়োজন হবে ততদিন। সরকার যতদিন চাইবে ততদিন সেনাবাহনী থাকবে। এটা তো সরকার নির্ধারণ করবে। সরকার যেদিন বলবে আমরা চলে আসবো।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব নির্ধারিত তেমন কোনো এজেন্ডা নেই। তবে করোনা ভাইরাসে অর্থনীতির প্রেক্ষাপট এসব নিয়েই আলোচনা হবে। এজেন্ডা একটাই করোনার প্রভাবে অর্থনীতিতে যে ক্ষতি হচ্ছে এখান থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করা।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে অনেক দেশই অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। তাই বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। এ পরিস্থিতি আরও দীর্ঘ হলে কর্মসংস্থান, রপ্তানি, প্রবাসী আয়সহ অভ্যন্তরীণ বাজারেও সৃষ্টি হবে বড় সঙ্কট।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম ওই ভাইরাস শনাক্ত করা হয়। এরপর থেকে রাজধানীবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্ত ৫১ জন, মৃত্যুবরণ করেছে ৫ ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৬ জন। আর কোয়ারেন্টিনে রয়েছে ৬ হাজার ৪৪৪ জন। এ পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৬০২ জনের। তবে ওই ভাইরাস মোকাবিলায় সরকার গত ২৬ মার্চ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। বন্ধ করা হয়েছে গণপরিবহনও। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকেও বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে। এছাড়াও সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।