সাম্প্রতিক শিরোনাম

বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত গ্রূপ ক্যাপ্টেন সাইফুল আজম-এর দাফন সম্পন্ন

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গ্রূপ ক্যাপ্টেন সাইফুল আজম গত রবিবার (১৪-০৬-২০২০) ১৩১৫ ঘটিকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তিনি স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও আত্মীয়স্বজনসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর জানাজার নামাজ সোমবার (১৫-০৬-২০২০) ১৩৪৫ ঘটিকায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার এর প্যারেড গ্রাউন্ডে (বিগটপ হ্যাঙ্গার) অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তার বিদেহী আত্মাকে সম্মান জানাতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একটি ফ্লাই পাস্টের আয়োজন করে।

উক্ত জানাজার নামাজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বিবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি সহ উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতিনিধি এবং সকল পদবীর সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁকে শাহীন কবরস্থানে দাফন করা হয়।

উল্লেখ্য যে, গ্রূপ ক্যাপ্টেন সাইফুল আজম (অবঃ) একমাত্র সামরিক পাইলট, যার চারটি বিমান বাহিনীর (বাংলাদেশ, জর্ডান, ইরাক ও পাকিস্তান) হয়ে কাজ করার কৃতিত্ব রয়েছে। তিনি প্রশিক্ষণে কৃতিত্বের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে ‘Top Gun’ এবং ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ মিলিটারি অ্যাওয়ার্ড ‘Sitara-e-Jurat’ উপাধিতে ভূষিত হন।

এছাড়াও, গ্রূপ ক্যাপ্টেন সাইফুল আজম (অবঃ) জর্ডান এবং ইরাক কর্তৃক ‘Wassam-al-Istiqlal’ ও ‘Nawt-al Shuja’ উপাধিতে ভূষিত হন। তিনি ০৩টি দেশের সামরিক খেতাবে ভূষিত হন-যা একটি বিশ্ব রেকর্ড। স্বাধীনতার পর তিনি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে ফেরত আসেন এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যোগদান করেন।

পরবর্তীতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন শেষে ১৯৭৯ সালে অবসর গ্রহণ করেন। এছাড়াও, ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে ‘লিভিং ঈগল’ উপাধিতে ভূষিত করার মাধ্যমে সম্মানিত করে। তিনি ছিলেন বিশ্বের ২২ জন এই অনন্য উপাধি অর্জনকারীর মধ্যে একজন।

সর্বশেষ

বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া সভাপতি ফারুকের প্রায় ১২০ কোটি টাকা ট্রান্সফার!

বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট নিয়ে বিশাল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে! ক্রিকেট বোর্ডের প্রায় ১২০ কোটি টাকার ফান্ড আওয়ামী ঘরানার দুই ইয়েলো...

২০০৯ এর বিডিআর বিদ্রোহ এবং ভারতের যুদ্ধ প্রস্তুতি

"২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি। ভারতীয় প্যারাশুট রেজিমেন্টের ৬ষ্ঠ ব্যাটালিয়নের মেজর কমলদীপ সিং সান্ধু সেদিন "স্পিয়ারহেড" বা অগ্রগামী বাহিনীর দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি...

কি ঘটেছিলো বিডিআর বিদ্রোহে! নেপথ্য কাহিনি

আলোচিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কাহিনি আজও অনুদ্ঘাটিত রয়ে গেছে। দীর্ঘ ১৫ বছরেও সেই রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের সত্য কেউ জানতে পারেনি। কীভাবে কার স্বার্থে এবং...

পিটিয়ে হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে ছাত্রদলের যে পাঁচজনকে দেখা গেছে তারা হলেন- সাঈদ হোসেন...