বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বাংলাদেশের বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর একটি অংশ। বর্তমানে এই বাহিনীতে ৩০,০০০ সদস্য কর্মরত আছেন, যাদের মধ্যে বৈমানিক আছেন ৮০০ এর অধিক।
ইতিহাস
বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত এই দৃপ্ত শপথে বলিয়ান বাংলাদেশ বিমানবাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ-এ আসামের দিমাপুরে ২৮শে সেপ্টেম্বর ১৯৭১ সালে গঠিত হয়। মাত্র তিনটি বিমান নিয়ে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয় যার মধ্যে ছিলো দুটি বিমান ডিসি-৩, ডাকোটা এবং একটি অ্যালুয়েট-৩ হেলিকপ্টার। পাকবাহিনীর ফেলে যাওয়া পাচঁটি স্যাবর (এফ-৮৬)-ই ছিলো এই বাহিনীর প্রথম জঙ্গী বিমান।
একটি ডিসি বিমান এখন বিমান বাহিনী জাদুঘর এ সংরক্ষিত আছে। আরেকটি ১৯৭২ সালে বিদ্ধস্ত হয়।
প্রতিষ্ঠানিক কাঠামো
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রধান কার্যালয় ঢাকা সেনানিবাসে অবস্থিত। অপারেশনস এন্ড ট্রেনিং (Ops. & Trng.), অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এন্ড স্পেশাল ডিউটি (Admin. & SD), এবং ম্যাটেরিয়াল এন্ড মেইনটেনেন্স (M & Mte) তিনটি বিভাগ পারিচালনা করা হয় প্রধান কার্যালয় থেকে। প্রতিটি বিভাগ তিনজন এয়ার ভাইস মার্শাল পদবীর অফিসার দ্বারা পরিচালিত হয়, এঁদের বলা হয় এ্যাসিসট্যান্ট চীফ অফ এয়ার স্টাফ, এঁরা বিমান বাহিনী সদর দপ্তরের পিসও (প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার) । প্রত্যেক পিএসও এর অধীনে এয়ার কমোডর পদমর্যাদার একাধিক ডিরেক্টর থাকেন। একইভাবে ডিরেক্টের অধীনে ডেপুটি ডিরেক্টর (DD) এবং স্টাফ অফিসার (SO) থাকেন।
জাতিসংঘ মিশনে অংশগ্রহন
জাতিসংঘের বিভিন্ন শান্তি মিশনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৬০০ এরও বেশি সদস্য অংশগ্রহন করেছেন। এই সদস্যদের মধ্যে সাধারণ সৈন্য থেকে অফিসার সকল পর্যায়ের সদস্যরাই ছিলেন। ১০টি হেলিকাপ্টার বর্তমানে বিভিন্ন শান্তিমিশনে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া আফ্রিকায় জাতিসংঘ শান্তিমিশনে একটি সি-১৩০ পরিবহন বিমান ব্যবহৃত হচ্ছে। জাতিসংঘ মিশনে অংশগ্রহনকারী দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সদস্য অংশগ্রহন করেছেন।