আয়তন বিবেচনায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর জন্য ১০০+ ফাইটার জেট থাকবার দরকার নেই।কম্বাট এয়ারক্রাফট একটি স্ট্রাটেজিক প্লাটফর্ম।ভুরাজনীতি,।অর্থনীতি ভবিষ্যত বিশ্ব রাজনীতি সবই নির্ভর করে এয়ারক্রাফটের উপর। ভবিষ্যত পলিটিক্স, ভবিষ্যতে চীন-রাশিয়া না ইউরোপীয়ান ব্লকে যাবেন সবই নির্ভর করবে আমাদের কেনা এয়ারক্রাফট এর উপরে।
সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ কিংবা বিজিবির জন্য যত ইক্যপুমেন্ট কিনুন না কেন, একটি সাবমেরিন, ব্যালাস্টিক মিসাইল সিস্টেম এবং এয়ারক্রাফট কিনলেই বিশ্বমিডিয়ার শিরোনামে এসে যাবে। একই সাথে ফিউচার এয়ারক্রাফট ব্যাটেল প্রুভেন এবং লং টার্ম সাস্টেইনেবল এবং এর স্পেয়ার পার্টস দ্রুত পাওয়া সুনিশ্চিত করতে হবে। বিলিয়ন ডলার খরচ করে কেনা এয়ারক্রাফট আরো ২০-৩০ বছর যেন সার্ভিসে থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
সাথে সময়ে সময়ে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আপগ্রেড করতেও হবে। সব হিসেবে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী নিশ্চিত করবে বহরে ভবিষ্যতে যুক্ত হওয়া ১৬ টি এয়ারক্রাফট যেন প্রযুক্তির উৎকর্ষতার আরো বছরের পর বছর আধুনিক থাকে। TAI-TFX প্রজেক্টটি নিয়ে এত হাইপড হবার কিছুই নেই। বাংলাদেশ এমন কোন প্রজেক্টের অংশীদার নয় এবং হতে আগ্রহী ও হবেনা।R&D সেক্টরে খরচ করার মানে হয়না যখন আমাদের এয়ারক্রাফটের চাহিদা ২০ বছরে ১৬-৩২ টি। সেই অর্থ খরচ করে আধুনিক এয়ারক্রাফট কেনাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। এর এ ব্যপারে কোন অগ্রগতি নেই আর হবেও না।
যুদ্ধ কখনো শান্তি বয়ে আনেনা। অত্যাধুনিক এয়ারক্রাফট, ট্যাংক,ফ্রিগেট বা সাবমেরিন যাই আসুক না কেন তা সার্ভিসে থেকে টহল দিয়েই অবসরে যাবে।আধুনিক যুগে যুদ্ধাস্ত্র যুদ্ধ করতে নয় বরং মনোস্বাস্তিক কৌশলেই বেশী ব্যবহৃত হয়। এটি শত্রুকে ভীত করার জন্য, উদ্বিগ্ন করার জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে বিনা কারনে জীবন নেওয়ার জন্য নয়।পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের সক্ষমতা বিচারে বিমান বাহিনী যেমনভাবে করার দরকার করবে।মিয়ানমার ৬টি সু-৩০, জেএফ-১৭ এয়ারক্রাফট সংগ্রহ করেছে তা বিমান বাহিনীর অজানা নয়। দাবার চালের গুটির চাল মিয়ানমার চেলেছে,বাংলাদেশের চাল এখনো বাকী।