সাম্প্রতিক শিরোনাম

বাংলাদেশের বৈদেশিক রপ্তানি বানিজ্যের বাস্তব অবস্থা এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনা

সিরাজুর রহমানঃ করোনা (কভিড-১৯) ভাইরাসের ভয়াল থাবায় চরমভাবে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। আজ সার বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এক রকম কর্মহীন হয়ে পড়ছে এই করোনা মহামারিতে। আর এর প্রত্যক্ষ বিরুপ প্রভাব এসে পড়তে শুরু করেছে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় রপ্তানি খাতে। বাংলাদেশের বার্ষিক রপ্তানি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের তুলনায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে কমে গেছে প্রায় ১৬.৯৩%। ৩০শে জুন ২০১৯-২০ অর্থ বছরের মোট রপ্তানি হয়েছিল ৩৩.৬৭ বিলিয়ন ডলার। যা কিনা লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২৫.৯৯% কম রপ্তানি হয়েছে। আর ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রপ্তানির মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪২.০০ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশের এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো এর রপ্তানি সংক্রান্ত তথ্য অনুযায়ী ২০১৯-২০ অর্থ বছরে মোট পন্য রপ্তানি হয়েছে ৩৩.৬৭ বিলিয়ন ডলার। যেখানে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে মোট রপ্তানি হয়েছিল ৪০.৫৫ বিলিয়ন ডলার এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৬.৬৭ বিলিয়ন ডলার। আবার ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭.০০ বিলিয়ন ডলার এবং ঠিক একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল ৩৪.৮০ বিলিয়ন ডলার। তবে বাংলাদেশের রপ্তানির আনুমানিক ৮০-৮৮% পর্যন্ত কিন্তু অতি মাত্রায় কাঁচামাল আমদানি নির্ভর তৈরি পোশাক শিল্প খাতের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে।

করোনা মহামারী চলাকালীন অবস্থায় দেশে সাধারন ছুটি উঠে যাবার পর থেকে জুন মাসে বৈদেশিক রপ্তানি ঘুরে দাড়াতে শুরু করে। মে মাসের তুলনায় জুন মাসে রপ্তানি বৃদ্ধি পায় ১.২৫ বিলিয়ন ডলার বা ৮৫.৬১%। যেখানে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের মে মাসে রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ১.৪৬ বিলিয়ন। কিন্তু তা জুন মাসে ঘুরে দাঁড়িয়ে রপ্তানি হয়েছে ২.৭১ বিলিয়ন ডলার। যদিও জুন-২০২০ এ রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩.৯৪ বিলিয়ন ডলার এবং জুন মাসে লক্ষ্যমাত্রাএ চেয়ে প্রকৃত রপ্তানি ৩১.১৫% কম। যদিও ২০১৯ সালের জুন মাসে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২.৭৮ বিলিয়ন ডলার।

২০১৯-২০ অর্থ বছরের এপ্রিল মাসের সাথে তুলনা করলে জুন-২০২০ এ রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৫ গুণ। জুন মাসে রপ্তানির ঘুরে দাড়ানোর জন্যই হয়ত ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৩.৬৭ বিলিয়ন রপ্তানি আয় করা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করা হয়। তা না হলে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে মোট রপ্তানি আয় ৩২.০০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যেত।

দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান অর্থনৈতিক পরাশক্তি ভারতের ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সামগ্রিক রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩১৪.৩১ বিলিয়ন ডলার। যা কিনা ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের তুলনায় ভারতের রপ্তানি কমেছে কমেছে প্রায় ১৪%। যেখানে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ভারতের মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩৩০.০৮ বিলিয়ন ডলার এবং ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ছিল ৩০৩.০০ বিলিয়ন ডলার। যেখানে ২০১৯ সালে পাকিস্তানের মোট রপ্তানি ছিল ২৪.২১৭ বিলিয়ন ডলার এবং ২০১৮ সালে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৬.৭০ বিলিয়ন ডলার। আর বর্তমানে পাকিস্তানের সামগ্রিক রপ্তানির সক্ষমতা এবং বাস্তব অবস্থা কিন্তু বাংলাদেশের বেশ অনেকটাই নিচে অবস্থান করছে।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বিশ্বের বর্তমান উদীয়মান অর্থনৈতিক পরাশক্তি চীনের ২০১৯ সালে রপ্তানির পরিমান ২.৪৯৯ ট্রিলিয়ন ডলার বা ২৪৯৯ বিলিয়ন ডলার। যেখানে ২০১৮ সালে চীনের মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২.৪৮৬ ট্রিলিয়ন ডলার। এদিকে বিশ্বের প্রথম স্থানীয় সামরিক ও অর্থনৈতিক সুপার পাওয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৯ সালে মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১.৬৪৫ ট্রিলিয়ন বা ১৬৪৫ বিলিয়ন ডলার এবং তা কিন্তু ২০১৮ সাল অপেক্ষা ১.২০% কম।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে চীনের শি জিং পিং সরকার তাদের বাজারে বাংলাদেশের ৫,১৬১ পন্যের শুল্ক মুক্ত রপ্তানির সুবিধা ঘোষণা করেছে। এর ফলে চীনের বিশাল বাজারে বাংলাদেশের মোট রপ্তানি পণ্যের ৯৭% পর্যন্ত শুল্ক মুক্ত প্রবেশের সুবিধা পেল এবং তা চলতি ২০২০ সালের জুলাই মাস থেকেই কার্যকর হবে। এর মাধম্যে অদূর ভবিষ্যতে চীনের বাজারে নতুন করে আনুমানিক ২.০০ বিলিয়ন ডলারের পন্য রপ্তানির বিশেষ সুবিধা পাবে বাংলাদেশ এবং তা বাংলাদেশের মোট রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে বলে আশা করা যায়। তাছাড়া এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো (ইপিবি) ২০২০-২১ অর্থ বছরে মোট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৩৭.০০ বিলিয়ন ডলার এবং ২০৩০ সালের মধ্যেই বাংলাদেশের বার্ষিক রপ্তানি ৫৫-৬০ বিলিয়ন ডলারের সীমাকে স্পর্শ করতে যাচ্ছে বলে আশা করা যায়।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...