স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে কৃষি প্রধান বাংলাদেশের জিডিপির আকার ছিল ৫৩ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা (বর্তমান বাজার মূল্য)। সে হিসাবে জিডিপির আকার বেড়েছে ৫২.৩১ গুন। ১৯৮২ সালে জিডিপির আকার দাঁড়ায় ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫০৫ কোটি টাকায়। অর্থাৎ ১০ বছরের ব্যবধানে প্রায় ৩ গুন হয় জিডিপি। ১০৯২ সালে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা, ২০০২ সালে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ১২০ কোটি আর ২০১২ সালে দেশের জিডিপির পরিমাণ হয় ১১ লাখ ৩৩ হাজার ৯শ’ কোটি টাকা। কৃষি থেকে সরে শিল্প নির্ভর অর্থনীতির পথে হাঁটছে বাংলাদেশ।
কয়েক বছর ধরে দেশের জিডিপিতে কমছে কৃষির অংশ। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরের প্রাথমিক হিসাবে (বর্তমান বাজারমূল্য) এ খাতের বর্তমান আকার ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬৩৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ জিডিপির ১৩.০২ শতাংশ এসেছে এ খাত থেকে। এর আগের অর্থবছরে জিডিপির ১৩.৩২ শতাংশ এসেছে কৃষি থেকে। ওই বছর (২০১৮-১৯) কৃষির আকার ছিল ৩ লাখ ২২ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জিডিপিতে কৃষিখাত যোগ করে ২ লাখ ৯৪ হাজার ২৩৪ কোটি টাকা। সেবছর জিডিপির ১৩.৮২ শতাংশ আসে এই খাত থেকে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জিডিপির ১৪.১৭ শতাংশ আসে কৃষি থেকে, সে বছর কৃষির আকার ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার ২৫ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৃষি খাতের আকার ছিল ২ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা অর্থাৎ জিডিপির ১৪.৭৭ শতাংশ ছিল কৃষির অংশ।
গেল অর্থবছর (২০১৯-২০) শেষে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) আকার দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকায়। তবে, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেয়া এই হিসাবটি প্রাথমিক। এখনও চূড়ান্ত হিসাব প্রকাশ করেনি সংস্থাটি। ২০১০-১১ অর্থবছরের এর আকার ছিল ৯ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছর ১০ বছরের ব্যবধানে ৩ গুণ হয়েছে দেশের জিডিপির আকার।
এই সময়টাতে বেসরকারি বিনিয়োগে স্থবিরতা না কাটলেও জিডিপিতে একটু একটু করে বেড়েছে শিল্পখাতের অংশ। যদিও, শতাংশের বিচারে গেল অর্থবছরের প্রাথমিক হিসাবে জিডিপিতে এখাতের যোগান কমেছে দশমিক ২ শতাংশ। বছর ভিত্তিক হিসাবে দেখা যায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৮৭১ কোটি টাকা, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫ লাখ ৪৮ হাজার ৩০৬ কোটি, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৬ লাখ ৪২ হাজার ২১৯ কোটি, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৮১২ কোটি আর গেল অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রাথমিক হিসাবে শিল্পখাতের আকার ৮ লাখ ৩১ হাজার ৯০ কোটি টাকা। শতাংশের হিসাবে গেল অর্থবছর জিডিপির ৩১.১৩ শতাংশ এসেছে শিল্প থেকে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩১.১৫ শতাংশ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৩০.১৭, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২৯.৩২ আর ২০১৫-১৫ অর্থবছরে শিল্পখাত থেকে এসেছে জিডিপির ২৮.৭৭ শতাংশ।
অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের জিডিপির অর্ধেকের বেশি আসছে সেবাখাত থেকে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জিডিপির ৫৬.৪৬ শতাংশ, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫৬.৫০, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫৬.০০, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৫৫.৫৩ আর ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫৫.৮৬ ভাগ এসেছে এই খাত থেকে। উল্লেখিত অর্থবছরে বর্তমান বাজার মূল্যে সেবাখাতের আকার ছিল যথাক্রমে ৯ লাখ ৩০ হাজার ৫০ কোটি টাকা, ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯১ কোটি, ১১ লাখ ৯১ হাজার ৮৭০ কোটি, ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৫ কোটি ও ১৪ লাখ ৯১ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment