বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও তদারকি কার্যক্রম জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
শনিবার প্রকাশিত বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর সংস্থাটির বার্ষিক পর্যালোচনা প্রতিবেদনে হয়েছে, ব্যাংকগুলোকে রেগুলেশন বা নিয়মকানুনে ডিস্কাউন্ট দেওয়ার প্রবণতা পরিহার করতে হবে।
আইএমএফ প্রতি বছর তার মেম্বার রাষ্ট্রের অর্থনীতি পর্যালোচনা করে। সংস্থাটির গঠনতন্ত্রের আর্টিকেল ফোর অনুসারে এ পর্যালোচনা হয়। আইএমএফের একটি মিশন এই ব্যাপারে প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ও সংস্থার পরিচালকরা এর উপর মতামত দেন।
আইএমএফের প্রতিবেদনে ব্যাংক খাত ব্যতীতও রাষ্ট্রের রাজস্বনীতি, অর্থনীতির নানারকম শক্তিশালী দিক এবং সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্মন্ধে আলোচনা করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অস্থিরতার আশঙ্কা করেছে আইএমএফ। এখনও পর্যন্ত সিচুয়েশন শান্ত থাকলেও অস্থিরতার ঝুঁকি আছে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, কিছু দিন আগে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংস্কার করে বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে সেইম পরিবারের দু’জনের পরিবর্তে চারজন সদস্য ও ব্যাংক পরিচালকদের মেয়াদ ৬ বছরে থেকে বাড়িয়ে ৯ বছর করা হয়েছে, যা সুশাসনের ক্ষেত্রে উদ্বেগের আবির্ভাব দিয়েছে। এই ব্যতীত নতুন ব্যাংক দেওয়ার চেষ্টায় আপত্তি জানিয়েছে আইএমএফ।
সংস্থাটি বলেছে, নিউ করে এইরকম ব্যাংকের লাইসেন্স দিলে তা এ খাতের তদারকি এবং নিয়ন্ত্রণকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, আইএমএফের পরিচালকরা ব্যাংক খাতের দুর্বলতা কাটাতে শক্তিশালী কন্ট্রোল এবং তদারকির সুপারিশ করেছেন। তাদের পরামর্শ, শীর্ষ খেলাপি ঋণ বিশেষত রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাত্রাতিরিক্ত খেলাপি ঋণ দ্রুত কমিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংককে ছুঁকিভিত্তিক সুপারভিশনে যেতে হবে। ইন্টারনাল কন্ট্রোল জোরদার ও ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নে বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ কন্ট্রোল ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার উন্নয়ন করার জন্য হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খেলাপি ঋণের হার ক্রমাগতভাবেই বাড়ছে। মূলত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কারণে ব্যাংক খাতে এই সৃষ্টি হয়েছে। দেশীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মোট ঋণের প্রায় ৩০ শতাংশই খেলাপি ঋণ। এসব ব্যাংক দরকারের তুলনায় প্রায় ৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকা কম প্রভিশন রাখতে যোগ্য হয়েছে। ব্যাংকগুলোকে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশ হারে মূলধন সংরক্ষণ করার জন্য হয়। অর্ধেকের বেশি বেসরকারি ব্যাংক ১২ শতাংশ হারে মূলধন সংরক্ষণ করার জন্য পেরেছে। দুটি বেসরকারি ব্যাংকের মূলধন ১০ শতাংশের পাদদেশে রয়েছে। ঋণ অনিয়মের কারণে ১টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। পরবর্তীতে রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি ব্যাংকের মূলধন জোগান দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এসব ব্যাংকের মূলধন অনুপাত ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
আইএমএফ বলেছে, বাংলাদেশ ব্যাংককে ঝুঁকিভিত্তিক তদারকি চালিয়ে যেতে হবে। সংশোধন কার্যক্রম সহায়ক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রেগুলেটরি ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে হত্যার ভিডিও ফুটেজে ছাত্রদলের পাঁচ নেতাকর্মীকে শনাক্ত করা গেছে। ভিডিওতে…
সাইমন সাদিক, ফ্রিল্যান্সিংয়ের যাত্রা শুরু করেন ২০১৮ সাল থেকে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে এবং বাইরে সফলতার সাথে…
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট ‘বাংলাদেশ আর্মড হেলিকপ্টার ইউনিট’ এর ১ম দল গণতান্ত্রিক কঙ্গো…
পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর…
রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন,…
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের…
Leave a Comment