সাম্প্রতিক শিরোনাম

আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি: তোফায়েল আহমেদ

সংসদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মময় ও বর্ণাঢ্য জীবনের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় নেতা নয়, ছিলেন আন্তর্জাতিক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতা।

জাতির পিতা সপরিবারে রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতির রক্তের ঋণ শোধ করে গেছেন। আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তাঁর প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানানো হবে।

মঙ্গলবার রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই আলোচনায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সরকারী দল আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ, শাহাজান খান, আবুল হাসান মাহমুদ আলী, মীর্জা আজম ও নূরুল ইসলাম নাহিদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য মো. ফখরুল ইমাম।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব তোফায়েল আহমেদ বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় নেতা নয়, ছিলেন আন্তর্জাতিক বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতা। জাতির পিতা সপরিবারে রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতির রক্তের ঋণ শোধ করে গেছেন। জন্মশতবার্ষিকীতে বলতে চাই জাতির পিতা, এই জাতি কোনোদিন আপনাকে ভুলবে না।

আপনার স্বপ্নের বাংলাদেশ আপনার কন্যা গড়ে তুলছেন। তিনি (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে একটি সম্মানিত রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক বিশ্বের মহান নেতা।

ডাকসুর তৎকালীন ভিপি ও ছাত্রলীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের মত-পথের ভিন্নতা ছিল। তারপরও আমরা এক হতে পেরেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে আমরা ১১ দফায় (সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের) অন্তর্ভুক্ত করেছি।

বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই’ এটা আমরা লিখতে পারিনি। কেউ কেউ আপত্তি করেছিলেন। এজন্য আমরা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার চেয়েছিলাম।

তবে আমরা মনে করেছিলাম, এই দাবি এক দফায় চলে আসবে। ঠিকই পল্টনের জনসভার পর আন্দোলন এক দফায় পরিণত হলো।

৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দিন ২৩ ফেব্রুয়ারি। আমি ওইদিন রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি ঘোষণা করেছি।

তাঁর স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছি। মতিউরের মৃত্যুর পর সত্যিকার গণঅভ্যুত্থান শুরু হলো। মানুষ রাজপথে নেমে এলো। মানুষ সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করলো। আমরা ৯ ফেব্রুয়ারি পল্টনে জনসভার ডাক দিলাম। সেই জনসভার পর ছাত্র আন্দোলন চলে এলো এক দফায়।

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ-২০২০) উপলক্ষে গত রবিবার জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে এই অধিবেশনে গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী-বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

পরে সাধারণ আলোচনা শুরু হয়। আগামী বৃহস্পতিবার এই আলোচনা সমাপ্ত হবে।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...