সাম্প্রতিক শিরোনাম

“পাকশীকে রক্ষার দাবী শুধু পাকশীবাসির নয় সমগ্র ঈশ্বরদীবাসির দাবী”

পাকশীকে রক্ষার পাকশীবাসির চলমান আন্দোলনের প্রতি আমার ব্যাক্তিগত দৃঢ় সমর্থন আমি পুনব্যক্ত করছি।

কারন পাকশী ঈশ্বরদী উপজেলার একটি গর্বের জায়গা। ইউনেস্কো স্বীকৃত না হলেও আমরা সুন্দর স্নিগ্ধ পাকশীকে শতবর্ষের ঐতিহ্য মন্ডিত দৃষ্টি নন্দিত এলাকা মনে করি।

আমাদের ঈশ্বরদীতে সরকারী ব্যবস্থাপনায় অনেক অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও এলাকার শিশু তরুন, কিশোর, যুবক এমনকি বৃদ্ধদের বিনোদনের মানসিক চাহিদা পুরনের জন্য কেউ কোন পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসে নাই। ঈশ্বরদীর মানুষের দুর্ভাগ্য যে এই এলাকায় সেই নেতৃত্ব গড়ে উঠে নাই যে কিনা এলাকার উন্নয়নের প্রকৃত সংজ্ঞাটা বুঝবে। কোন এলাকার অবকাঠামোগত এবং শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা উন্নয়নের অংশ তবে কোন ভাবেই পরিপুর্ন উন্নয়ন নয়।

পরিপুর্ন উন্নয়ন বলতে এলাকার মানুষের শিক্ষা, জ্ঞান চর্চা, চিকিৎসা, সাহিত্য সংস্কৃতি, খেলাধুলা, বিনোদন সব কিছুর সমন্বিত উন্নয়নকে বোঝায়। এসব বিষয়গুলি কি কোন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ চিন্তা করেছেন।

সরকারী দলের নেতৃবৃন্দ চালকের আসনে বিধায় তাদের দায়িত্ব হয়ত বেশী তাই বলে অন্যান্য রাজনৈতিক দল বা সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কি কোন দায় নাই। নিশ্চয়ই আছে।

তারা তো কিছু করতে না পারলেও অন্তত বক্তব্য বিবৃতি বা প্রয়োজনে জনগনের চলমান আন্দোলনে মাঠে নেমে সমর্থন ঐক্যমত্য, সহমর্মিতা পোষন করতে পারতেন। আসলে আমার দেশের রাজনীতি এবং নির্বাচন হয়ে গেছে দল ভিত্তিক, মার্কা ভিত্তিক।

বিধায় জনগনের মৌলিক সমস্যা কিংবা কল্যান তাদের মাথায় আসে না। রাজনীতিবিদদের লক্ষ্য দলের পদপদবী অথবা মনোনয়ন।

প্রয়াত সাংসদ ডিলু ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি, তাঁর জীবদ্দশায় এ সব বিষয় নিয়ে ” হ্যাঁ মাননীয় সাংসদ, আপনাকেই বলছি”, ” আমি ঈশ্বরদীকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি”, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট নিবেদন, ঈশ্বরদীকে জেলা ঘোষনা সহ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি চাই” ইত্যাদি কয়েকটি লেখা স্থানীয় পত্রিকায় এবং ফেসবুকে প্রকাশ করেছি।

এই সমস্ত লেখায় উপজেলার অন্যান্য দাবীর সাথে ঐতিহ্যবাহী পাকশীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বহাল রেখে সব বয়স এবং শ্রেনী পেশার মানুষের বিনোদন এলাকা গড়ে তোলার জন্য বারংবার দাবী করেছি।কিন্তু মাননীয় সাংসদ তো নয়ই কোন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ মুখে টা শব্দটি করেন নাই।

কোন এলাকার জন্য বিশেষ কোন সরকারী সুবিধা নিতে হলে দুই ভাবে নেওয়া যায়, এক গনপ্রতিনিধি কিংবা উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে শীর্ষ পর্যায়ে দেন দরবার দুই জনগন কর্তৃক চাপ প্রদান বা গনআন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে। প্রথমটি যখন ব্যর্থ তখন দ্বীতিয়টিই ভরসা।

আমার মনে হয় পাকশীর অস্তিত্বকে টিকিয়ে রেখে সেখানে বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলার দাবী শুধু পাকশীবাসির নয় সমগ্র ঈশ্বরদীবাসির।

সুতরাং দলমত নির্বিশেষে সকল ঈশ্বরদী বাসির উচিত পাকশী রক্ষার আন্দোলনে শরীক হয়ে সমগ্র ঈশ্বরদীর স্বার্থে আন্দোলন বেগবান করা। গতকালের মানব বন্ধনে শাষক দলসহ অন্য একটি রাজনৈতিক দলের একজন নেতা উপস্থিত থাকলেও অন্য বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির কোন প্রতিনিধি উপস্থিত নাই।

তারা নিজেরা গননেতা দাবী করলেও সাধারন জনগনের আন্দোলনে নাই। বিষয়টি অবশ্যই দুঃখজনক।

আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, ঢাকার অদুরে সরকারের নতুন বিমানবন্দর নির্মানের সকল প্রস্তুতি সত্বেও এলাকার মানুষের আন্দোলনের কারনে সরকার সেখান থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে।

জনগনের শক্তিই বড় শক্তি তবে তা যদি সঠিক অর্থে সঠিক পরিকল্পনায় ব্যবহার করা যায়।

লেখকঃ শমিত জামান, সাংবাদিক কলামিস্ট।

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...